• ভগ্নিপতির সঙ্গে পরকীয়া! ক্ষোভে প্রেমিকাকে খুন, যাবজ্জীবন দাদা-বোনের 
    প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভগ্নিপতির সঙ্গে পরকীয়া! যুবতীকে খুন করে দাদা-বোন। দু’জনকেই দোষী সাবস্ত্য করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। মেয়ের খুনিরা সাজা পেয়েছেন শুনে খুশি মৃতার পরিবার। মৃতার ভাই জানিয়েছে, আদালতের এই নির্দেশে আমরা খুশি।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রহিমা মণ্ডল। তিনি গোপালনগর থানার নতিডাঙা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। প্রতিবেশী বাকিবিল্লা মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু গোপালনগরের সাতবেড়িয়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রহিমার। তবে বাকিবিল্লার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল যুবতীর।

    এরপরই বাকিবিল্লা তাঁকে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুম্বইয়ে নিয়ে যায়। সেখানে থাকত বাকিবিল্লার বোন তারাবানু মণ্ডল ও তার স্বামী। সেখানে তারাবানুর স্বামীর সঙ্গে রহিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় বলে সন্দেহ করতে থাকে দাদা ও বোন। এরপরই রহিমাকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। রহিমাকে বাঁদুড়িয়া থানার অন্তর্গত ঈশ্বরীগাছা এলাকায় তারাবানু মণ্ডলের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দাদা বাকিবুল্লা ও বোন তারাবানু মণ্ডল রহিমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর দেহ পুঁতে দেয় রান্নাঘরে।

    এদিকে দীর্ঘদিন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গোপালনগর থানায় নিখোঁজ অভিযোগ করেন রহিমার মা কাবেরা খাতুন। বারবার জানতে চান মেয়ে কোথায়। অবশেষে বাকিবুল্লার মা,বাবাকে ডেকে রহিমাকে নিয়ে আসার কথা বলে পুলিশ। তারপরই ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসে জানা যায়, রহিমাকে খুন করে রান্নাঘরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে দাদা-বোন। দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিশ।

    আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ২৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সওয়াল জবাব শুনে বিচারক অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে। শুক্রবারে দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক। মৃতার মা কাবেরা খাতুন বলেন, “আমি আদালতের রায়ে খুশি। মেয়ের খুনিদের সাজা দেওয়ার জন্য অনেক জায়গা ঘুরেছি। অবশেষে বিচার পেলাম। পুলিশ, আমাদের উকিল, সরকারি উকিলবাবু সবাই খুব সাহায্য করেছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)