সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জতুগৃহ এজরা স্ট্রিট। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে ওই বহুতলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসা হবে বলেই জানিয়েছেন মেয়র।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওই বহুতলে বহু বৈদ্য়ুতিন তার অগোছালোভাবে দেখা গিয়েছে। আমি সিইএসসি, দমকল, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা, পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করব। যাতে বড়বাজারে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন। যাতে দমকল আসতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সকলের।” ওই অগ্নিদগ্ধ বহুতল বহু প্রাচীন। কমপক্ষে বাইশবার আগুন লেগেছে বলেই দাবি ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের। তাঁর অভিযোগ, “এটা ঘিঞ্জি এলাকা। ২২ বার আগুন লেগেছে। আগুন লাগার ঝুঁকি নিয়ে বহুবার দমকল, পুলিশ কমিশনারকে লিখেছি। কাকে বলিনি? কারও টনক নড়েনি। কাগজ আমার কাছে আছে। কিছুই ঠিকঠাক হয়নি।”
যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, অবৈধ নির্মাণ আদৌ ওই বহুতলে হয়েছে কিনা, তা কলকাতা পুরসভা বিল্ডিং বিভাগ খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। মেয়রের কথায়, “হতে পারে বেআইনি, আমি চ্যালেঞ্জ করছি না। এত বড় বাড়িতে কে কী করছেন, তা জানা যায় না। যখন এগুলো হয়, তখন কেউ জানাননি। একশো-দেড়শো বছরের পুরনো বাড়ি। তাই কতটা আইনি, কতটা বেআইনি নির্মাণ তা এখনই বলতে পারব না। আগে বিল্ডিং বিভাগের লোকজনেরা আসবেন, তবেই বলতে পারব।” প্রমাণ পেলে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে বলেই সাফ জানান মেয়র।
অগ্নিকাণ্ডে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওই ব্যবসায়ীদের। তাঁদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার? দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য? মেয়রের দাবি, ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে দেখা হবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারপরই প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কীভাবে এজরা স্ট্রিটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “কী থেকে আগুন, তা ফরেনসিক না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না।” ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁর আর্জি, “ব্যবসা করুন, সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকমতো রাখুন।” বলে রাখা ভালো, সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন লেগেই রয়েছে। তারপর থেকে ফায়ার অডিটে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তবে তারপরেও এমন ঘিঞ্জি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।