ফারুক আলম, বিধাননগর: দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে বাজেয়াপ্ত করা হল অভিযুক্ত বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়ি। নীলবাতি লাগানো গাড়িটি শুক্রবার গভীরাতে বাইপাসের ধার থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই গাড়িটি করেই ব্যবসায়ী স্বপন কুমিলার দেহ নিউটাউনের জঙ্গলে ফেলা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে গাড়িটি কার সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল নেতা সজল সরকারের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কোচবিহার পুলিশ।
সল্টলেকের সোনা ব্যবসায়ী স্বপন কুমিল্যা খুনে নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। তিনি অপহরণ করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিডিও ঘনিষ্ঠ রাজগঞ্জের বিডিওর প্রশান্ত বর্মনের গাড়িচালক রাজু ঢালি, তাঁর বন্ধু তুফান থাপা ও কোচবিহারের তৃণমূল নেতা সজল সরকারকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। তবে কেন বিডিওকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতার পরিবার। দাবি, ঘটনার দিন ৬জন উপস্থিত ছিল বিডিওর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। সেখানে স্বপনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই মৃত্যু হলে তাঁকে নিউটাউনের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতার পরিবার উত্তর-পূর্ব রাজ্যকে করিডর করে সোনারপাচারের সঙ্গে তাঁর পরিবার যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সজলের দাদা ও বউদিকে জেরা করতে পারে কোচবিহার জেলা পুলিশ। পাশাপাশি সজলকে পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, নিউটাউনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে কোচবিহার-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সজলের গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর দাদা ও ভাই দু’জনকেই বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না সজলের বউদি তথা কোচবিহার-২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গায়ত্রী সরকারকেও।
প্রসঙ্গত, জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের ঘোষিত কমিটির পালটা কমিটি ঘোষণা করে ব্লক পরিচালনা করছিলেন সজল। এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “নতুন ব্লক সভাপতি শীঘ্রই করা হবে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যে এই ঘটনার খবর পৌঁছেছে। তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। তবে সে (সজল সরকার) গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ব্লক সভাপতি থাকলেও ভালো কিছু হয়নি। এবার না থাকলে খারাপ কিছু হবে, এমনটা ভাবার কিছু নেই।”