ভবানন্দ সিংহ: দিল্লি বিস্ফোরক কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জানিসার আলমকে। হরিয়ানার আল ফালহা বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে ২০২৪ সালের ডাক্তারি পাস করে জানিসার। আল ফালাহ-র প্রাক্তন ওই ছাত্রকে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। পরে তাকে শিলিগুড়ি নিয়ে এসে জেরা করেন এনআইএর গোয়েন্দারা। সেই জানিসার আলমকে ছেড়ে দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শনিবার পরিবার সূত্রে খবর, জানিয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
জানিসারদের আদি বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কোলান গ্রামে। কাজের সূত্রে তাঁর বাবা পঞ্জাবের লুধিয়ানা চলে যান। সেখানেই বসবাস শুরু করেন। আপাতত জানিসার পঞ্জাবের বাসিন্দা। দিল্লির বিস্ফোরণের পর সে মা ও বোনের সঙ্গে পৈত্রিক বাড়িতে এসেছিল এক আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। দিল্লি বিস্ফোরণের পর জানিসারের বাবাকে আটক করে জেরা করে এনআইএ। তারা জানিসারের খোঁজ করেন। ছেলে উত্তর দিনাজপুরে যে বিয়েবাড়ি গিয়েছে তা তদন্তকারীদের বলে দেন। তার পরই জানিসারের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে গ্রেফতার করে এনআইএর গোয়েন্দারা।
আলমের কাকা আবুল কাসেম সাংবাদিকদের বলেন, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ওকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা শুনেছি আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওর এমবিবিএস ব্যাচের সকল বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কাসেম আরও বলেন, "আলম, তার মা এবং বোন ১২ নভেম্বর এখানে এসেছিল। আমাদের এক আত্মীয়ের ১৬ নভেম্বর বাগদান অনুষ্ঠান এবং ৬ ডিসেম্বর এখানে বিয়ে রয়েছে। তারা সেগুলিতে যোগ দিতে এসেছিল। আমরা শুনেছি যে তদন্তকারীরা লুধিয়ানায় তার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা তৌহিদের সাথে কথা বলেছেন। তারপর তারা এখানে এসেছিলেন। আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সে তার মাকে ফোন করে জানায় যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। পরে সে জানায় যে তারা তাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে গেছে। সে কী করেছে, আমরা জানি না। ও কউব ভদ্র ছেলে।