মুন্ডুহীন, দুই হাত কাটা দেহ নয়ড়ার ড্রেনে! যুবতী খুনের নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। লাগাতার ব্ল্যাকমেল! শেষে খুন! নয়ড়ার হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের সমাধান করল পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছেন মহিলার প্রেমিক। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
৬ নভেম্বর। নয়ড়ার একটি অভিজাত এলাকার ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় মহিলার মুন্ডু ও দু’টি হাত কাটা দেহ। মহিলার পরিচয় ও খুনের কিনারা করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। অবশেষে তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সপ্তাহভর ৫হাজারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, হাজারটি গাড়িকে চিহ্নিত করে, সন্দেহজনক ৪৪টি গাড়ির মালিক ও চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মনু সোলাঙ্কি। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পেশায় বাস চালক। তার মায়ের জিন্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন মৃতা প্রীতি। মনু বিবাহিত হওয়ার পরও প্রীতির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মনুর দাবি, প্রীতি বারংবার তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিতেন। না দিলে সম্পর্কের কথা তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জানিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন।
পাঁচ নভেম্বর মনু প্রীতির বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাঁকে বাসে তুলে রাস্তায় খাবার খেতে দাঁড়ান। সেখানে প্রীতির সঙ্গে বচসা বাধে অভিযুক্তের। পুলিশের দাবি, সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রীতির মাথা কেটে দেয় অভিযুক্ত। এরপর যাতে কেউ লাশটি শনাক্ত করতে না পারে, তার জন্য কেটে নেয় হাতও। তারপর মাথা ও হাত গাড়ির চাকায় চাপা দিয়ে ফেলে দেয় রাস্তার ধারে। পুলিশ খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।
কিন্তু কী করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন তদন্তকারীরা? ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়া উত্তরপ্রদেশের নম্বর লাগানো একটি সাদা-নীল রংয়ে বাস পুলিশের নজরে পড়ে। সেই বাসের চালককে তা খতিয়ে দেখার পর মনুর হদিশ পান তদন্তরকারীরা। তাঁকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করতে উঠে আসে সত্য। পুলিশ ধৃতকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার বাকি তদন্ত চালাচ্ছে।