• দেশজুড়ে চুরি, ডাকাতি! সাঁতরাগাছিতে ধৃত ‘শান সি সুলতানপুরী’ গ্যাংয়ের ৩, তদন্তে CID
    প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া:  দিল্লি, রাজস্থান, মুম্বই-সহ দেশের একাধিক শহর একের পর এক চুরি ডাকাতির অভিযোগ! দেশের একাধিক থানায় রয়েছে অভিযোগও। এর মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জামিন পেয়েই ফের চুরি ছিনতাইয়ের কাজে ফিরে গিয়েছেন গ্যাং বা দুষ্কৃতীদলটির সদস্যরা। কিন্তু এই গ্যাংয়ের মাথাদের ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। এবার দিল্লির সেই কুখ্যাত দুষ্কৃতীদল ‘শান সি সুলতানপুরী’ গ্যাংয়ের অন্যতম মূল মাথা-সহ তিন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হল হাওড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে জাল পেতে রাখার পর অবশেষে গ্যাংয়ের ৩ সদস্য হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামতেই তাদের গ্রেপ্তার করে খড়গপুর জিআরপি-র শালিমার থানা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্যাংয়ের অন্যান্যদের খোঁজ শুরু করেছে জিআরপি। তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডিও। সূত্রের খবর, বিভিন্ন ধর্মীয়স্থান, মেলা, বাস স্ট্যান্ড-সহ দেশের জনবহুল এলাকাকেই এই গ্যাংয়ের সদস্যরা বেছে নিত। ইতিমধ্যে খড়গপুর জিআরপির হাওড়ার শালিমার থানায় রেল পুলিশ-সহ সিআইডির আধিকারিকরা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

    এই প্রসঙ্গে এসআরপি খড়গপুর জিআরপি দেবশ্রী সান্যাল জানিয়েছেন, ”গত বুধবার রাতে সাঁতরাগাছি স্টেশনের ৬ ও ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ৩ জনকে সন্দেহভাজনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপরেই তাদের ধরে খড়গপুর জিআরপির শালিমার থানা। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু সোনার জিনিস পাওয়া যায়।” এত সোনা কোথা থেকে তাঁরা আনছে জানতে চাইলেই সমস্ত তথ্য সামনে চলে আসে! তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ধৃতরা সবাই ‘‘শান সি সুলতানপুরী’’ গ্যাংয়ের অন্যতম মূল সদস্য। ধৃতরা হল, ধৃতরা হলে রনবীর সিং, আজমীর সিং ও মুকেশ। এরা প্রত্যেকেই পশ্চিম দিল্লির সুলতানপুরির বাসিন্দা। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ধৃতরা হলো ‘‘শান সি সুলতানপুরী’’ গ্যাংয়ের অন্যতম মূল সদস্য। আর এদের মধ্যে রনবীর হলো এই গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দশ বছর ধরে রনবীরের নেতৃত্বে এই গ্যাং রাজস্থান, মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে সোনা চুরির অপারেশন চালায়। এই সমস্ত রাজ্যে এর আগেও রনবীর গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ জানতে পারে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা কখনওই ফোনে নরমাল কথা বলতো না। সবসময় হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলতো। এমনকী বাড়ির লোকের সঙ্গেও হোয়াটসঅ্যাপ কলেই কথা বলতো। এদের কাছ থেকে সোনার গয়না ছাড়াও জাল আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাংলায় গ্যাংয়ের সদস্যরা কেন এসেছিল তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমে এদের অন্য কোথায় যাওয়ার প্ল্যান ছিলে বা এ রাজ্যেও এরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছিলে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)