‘বিহার ভোটের ফলাফলের প্রভাব পড়বে না বাংলায়’, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি বৃন্দার
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
অরিজিত গুপ্ত, হাওড়া: বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলাদা। এই রাজ্যের মানুষ জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ফলে বিহারের ভোটের ফলাফলের প্রভাব বাংলার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। হাওড়ায় এসে সেই কথাই বললেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। শুধু তাই নয়, বিহার ভোটে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
গতকাল, শুক্রবার বিহারের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিজেপি ভালো ফল করেছে। এনডিএ জোট প্রতিবেশী রাজ্যে চালকের আসনে। সরকার গঠন করা এখন সময়ের অপেক্ষা। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বিহারের ভোটের ফলাফল কতটা বাংলায় পড়বে? সেই বিষয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে। সেই আবহেই সিপিএম নেত্রী এদিন হাওড়ায় দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৃন্দা বলেন, “বিহারের ফলাফল দেখিয়ে বিজেপি এ রাজ্যেও সাধারণ মানুষের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে চাইছে। এখানে তা সম্ভব হবে না। কারণ, এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ জাতপাত ও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি বিশ্বাস করেন না। বিহারে জাতপাতের রাজনীতি করেই ওখানে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।”
একই সঙ্গে বিহারের ভোটে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও এদিন সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তোলেন বৃন্দা। তাঁর কথায়, “বিহারের ভোটে বিজেপি যত নিয়মভঙ্গ করেছে তার একটাতেও হস্তক্ষেপ করেনি কমিশন। রীতিমতো সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়মভঙ্গ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের এক মাস আগে বিহারে টাকা বিলি করেছে বিজেপি। এটা সবাই জানত। নির্বাচন কমিশনকে এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” বিহারের ভোট প্রসঙ্গে এদিন বৃন্দা আরও বলেন, “বিহারে ভোটের আগে এসআইআর করে ওখানকার গরিব মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল বিজেপি। জাতপাতের রাজনীতি করেছে তারা। পাশাপাশি বিরোধী জোটের ভোট যে খুব কমেছে তা নয়, খুব সামান্য শতাংশই ভোট কমেছে।” শনি ও রবিবার দু’দিন ব্যপী সিপিএমের সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ২৯ তম হাওড়া জেলা সম্মেলন শুরু হল হাওড়ায়।