• দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে টানা প্রশ্ন, বাংলার ডাক্তারি পড়ুয়াকে মুক্তি দিয়ে কী জানাল NIA?
    প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতে বাংলা থেকে গোয়েন্দাদের হাতে আটক হয়েছিলেন এক ডাক্তারি পডুয়া। শনিবার শিলিগুড়ির এনআইএ দপ্তরে লাগাতার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি দিলেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আটক পড়ুয়ার মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াকে আপাতত মুক্ত করলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে এনআইএ-র তরফে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লির সদর দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকালে। জানিসুর ওরফে নিশার আলম নামে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার এক বাসিন্দা এসেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। কোনাল গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। আশির দশকে নিশারের বাবা এখান থেকে লুধিয়ানায় চলে যান। সেখানেই নিশার বড় হয়েছেন। পরে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারি পড়া শুরু করেন। কোনাল গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এক আত্মীয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়ে এসেছিলেন। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হিসেবে তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন নিশার। সেই সন্দেহে শনিবার দিনভর তাকে নজরে রেখে সন্ধ্যা নাগাদ পাকড়াও করেন এনআইএ তদন্তকারীরা। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে নিশারের কোনও যোগ আছে কিনা, তা জানতে শনিবার শিলিগুড়িতে নিয়ে গিয়ে দিনভর তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিশারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর কাকা এই খবর জানিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নিশারের মোবাইল ফোন। তা পরীক্ষা করে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পড়ুয়ার সঙ্গে সেখানকার ‘জঙ্গি’ প্রাক্তনীদের কোনও যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। এই প্রথম নয়, দিল্লি বিস্ফোরণের পর বাংলায় এর আগেও তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক মইনুল হাসানের বাড়িতে তল্লাশি চলে। তিনি কখনও দিল্লি, আবার কখনও মুম্বইয়ে কাজ করেছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কাজ করার সময় এক বাংলাদেশির সঙ্গে থাকতেন মইনুল হাসান। সেই সূত্রেই সন্দেহভাজন হিসেবে এনআইএ-র এই তল্লাশি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)