ছাড়লেন রাজনীতি, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ লালু-কন্যা রোহিণীর
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
পাটনা: নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দলের। এবার পরিবারে ভাঙন ধরল লালুর। ফল ঘোষণার পরদিনই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য। ‘এক্স’ হ্যান্ডলে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজনীতি ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।
বিহার নির্বাচনে মাত্র ২৫টি আসনে জিতেছে আরজেডি। যে দল গত নির্বাচনে একক বৃহত্তম হয়েছিল, এবার তারা তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে মহাগঠবন্ধনের ফলাফলই শোচনীয়। শুক্রবার দিনভর দলের এই করুণ পরিণতি সহ্য করতে হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবকে। শনিবার সকালে এল নতুন ধাক্কা। এবার ভাঙন পরিবারেই। লালু-কন্যা রোহিণী ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, ‘রাজনীতি ছাড়ছি। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। সব দোষ মাথা পেতে নিচ্ছি।’ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিণী, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
আচমকা রাজনীতির ময়দান থেকে সরে আসার ঘটনা নতুন নয়। তবে পরিবারের সঙ্গে রোহিণীর সম্পর্ক ছিন্ন করাটা অবাক করেছে অনেককে। কারণ ২০২২ সালে বাবা লালুপ্রসাদ যাদবকে নিজের কিডনি দান করেন রোহিণী। সেই কিডনি আরজেডি সুপ্রিমোর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। বাবার জন্য মেয়ের এই অবদান নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা চলেছিল। লালু নিজেও বিভিন্ন সভায় মেয়ের প্রশংসা করতেন। সেই রোহিণীই যাদব পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করলেন। বাবা লালুর সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। রাজনীতির ময়দানে অনেকটা দেরিতে পা রেখেছেন রোহিণী। ২০২৪ লোকসভায় আরজেডির হয়ে বিহারের সারন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন। যদিও জিততে পারেননি। এবার রাজনীতির ময়দানকে চিরতরে বিদায় জানালেন লালু-কন্যা। এই সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত হলেও সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টে দুজনের নাম উল্লেখ করেছেন রোহিণী। প্রথমজন সঞ্জয় যাদব আরজেডি নেতা। তেজস্বী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য। অন্যদিকে, রামিজ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তিনি আরজেডির সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব সামলান। তেজস্বীর পুরোনো বন্ধু। এঁরা তাঁকে কী বলেছেন তা জানাননি লালুকন্যা। আরও একটা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে জল্পনা চলছে। কোন দোষ মেনে নেওয়ার কথা রোহিণী বলছেন, তারও ব্যাখ্যা নেই।