সংবাদদাতা, হিলি: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত এলাকা হিলির পশ্চিম আপ্তৈড়ে ১৪ হাত কালীপুজোকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি চলছে। পুজো কমিটির উদ্যোগে স্থায়ী মন্দির প্রাঙ্গণে এবারও ধুমধাম করে দেবীর আরাধনা হবে। আগামী ১৯ নভেম্বর কালীপুজো এবং পুজো উপলক্ষ্যে মন্দিরের সামনে সাতদিনের মেলাও বসবে। পুজোর দিন হিলি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। পুজোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে বলে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভাইফোঁটার পরদিন থেকে রীতি মেনে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ১৪ হাত প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পী উদয় মালী ও অমিত মালিক। তাঁদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৫ জন মৃৎশিল্পী রাতদিন এক করে বিশালাকার কালী প্রতিমা তৈরি করছেন। মূল কালী প্রতিমার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে রামকৃষ্ণ, সারদামণি, শিব, একটি ষাঁড় ও একটি সুইট কালী মূর্তি। গতবছর তৈরি হয়েছিল তারামায়ের প্রতিমা। এবছর সুইট কালীর প্রতিমা তৈরি হচ্ছে।
অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় প্রতিবছর বৈষ্ণব মতে দেবীর পুজো হয়। পুজোতে মিষ্টি ও ফলমূল ভোগের সঙ্গে অন্নভোগ দেওয়া হয়। প্রধান পুরোহিতকে সহায়তা করেন আরও তিনজন পুরোহিত। বিশেষ পুজোর পাশাপাশি বছরভর দু’বেলা দেবীর নিয়মিত নিত্যপুজো হয়। প্রতি অমাবস্যায় পুজোতে বিশেষ অন্ন ভোগ দেওয়ারও রীতি রয়েছে।
১৯৮১ সাল থেকে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। পুজোর প্রচলন সম্পর্কে একাধিক মত আছে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ অমিত বিশ্বাস জানান, সে সময়ে নবদ্বীপের রাসমেলায় বড় প্রতিমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার কিছু মানুষ নিজেদের উদ্যোগে ১৪ হাত কালীপ্রতিমা গড়ে পুজো শুরু করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর এখানে স্থায়ী মন্দিরে দেবীর পুজো করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হিলি থানার আইসি শীর্ষেন্দু অধিকারী জানান, পুজো উপলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন সহ মন্দির চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।