সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়ায় চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয় দেড় কিলোমিটার। তবেই হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনও যানবাহন মেলে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির এই ছবি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা মোবারকপুর ও টেঙ্করিয়া পাড়া গ্রামে। কারণ, সেখানকার রাস্তার বেহাল দশা। শুখা মরশুমেও ওই পথে যানবাহন চালানো কষ্টকর। বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। রাস্তায় কাদা হয়ে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের দাবি, দেড় কিলোমিটার রাস্তা অনেক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মরা মহানন্দা। প্রতি বর্ষায় রাস্তার একাংশ ধসে যায় নদীগর্ভে। তখন সংকীর্ণ হয়ে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম।
স্থানীয় বাসিন্দা উমেদ আলী ও সফিরুদ্দিনরা বলেন, দু’টি গ্রামের একমাত্র এই বেহাল রাস্তা দিয়ে বাইক, টোটো ও অটো চলাচল করে। অনেক সময় বিভিন্ন যান উল্টে নদীতে পড়ে। খারাপ রাস্তার জন্য গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল ঢুকতে পারে না। একাধিকবার আন্দোলন করার পর নেতা, মন্ত্রীরা রাস্তা তৈরি করার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি।
দিনের পর দিন ভোগান্তির ফলে এবার ক্ষোভ বেড়েছে কয়েকগুণ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাস্তা না হলে ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিকুঞ্জ সাহা বলেন, প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যকে লিখিতভাবে রাস্তার দাবি জানিয়েছি।
জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটির জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডারের পর ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হলেই কাজ শুরু হবে। নিজস্ব চিত্র