এখনও ধরা পড়েনি চিতাবাঘ, আরও একটি খাঁচা বসানো হল এনবিইউতে
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বাগডোগরা: চিতাবাঘ ধরতে নতুন করে আরও একটি খাঁচা বসানো হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিকে, ঘটনার পাঁচদিন পার হলেও চিতাবাঘ বন্দি না হওয়ায় আতঙ্ক কাটেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকা আবাসিক থেকে শুরু করে স্থানীয়দের মধ্যে।
গত মঙ্গলবার বাড়ির বাথরুমের দরজা খুলতেই এক যুবকের উপর হামলা করেছিল চিতাবাঘ। ওই ঘটনার পর থেকে নতুন করে একাধিকবার চিতাবাঘটি দেখা গিয়েছে, দাবি স্থানীয়দের। শুক্রবার রাতে ফের শান্তিপুরে চিতাবাঘটিকে দেখতে পেয়েছেন বলে কয়েকজন জানান। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর প্রচুর গাছপালা ও জঙ্গল থাকায় প্রাণীটিকে ধরতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে বনদপ্তরের। জায়গা বদল করে করে বসানো হচ্ছে খাঁচা। তাতেও ধরা না পড়ায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সকলের। শনিবার নতুন করে আরও একটি খাঁচা বসানো হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই জায়গায় ছাগলের টোপ দিয়ে দু’টি খাঁচা বসানো রয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে একাধিক বিধিনিষেধও জারি করেছে বনদপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আপাতত সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে মানুষের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে থাকা পথ কুকুরগুলিকেও অন্যত্র সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান বনদপ্তরের বাগডোগরার রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া।
রেঞ্জার বলেন, ছাগলের টোপ নিয়ে দুই জায়গায় খাঁচা আমরা বসিয়েছি। এনবিইউয়ের ৩ নম্বর গেট ও মাল্টিপারপাস গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকার জঙ্গল ও চা বাগানে তল্লাশি চলছে। চিতাবাঘটিকে ধরতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চা বাগানগুলি পরিচর্যা না হওয়ায় গাছগুলি প্রায় ২০ ফুট উঁচু হয়ে গিয়েছে। জন্মেছে আগাছা। সেগুলিকে পরিষ্কার করার কথাও বনদপ্তর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
এনবিইউয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে মাইকিং করা হচ্ছে। আইনি সমস্যার কারণে চা বাগানের জঙ্গল পরিষ্কার যাচ্ছে না। কোর্টের মাধ্যমে আবেদন করে ওসব সাফাই করার চেষ্টা করা হবে। বনদপ্তরকে সবরকমভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। • নিজস্ব চিত্র।