• ‘খড়্গপুর আইআইটিতে অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ হিরণের’, রেল শহরে বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: খড়গপুর আইআইটির শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ করেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে রেল শহরে পড়ল পোস্টার। খড়গপুর আইআইটি চত্বরে এই পোস্টার নজরে আসতেই উত্তেজনা ছড়াল। জানা গিয়েছে, কিছু পোস্টারে লেখা রয়েছে, খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ ও বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গোপন আঁতাত মানছি না, মানব না। এতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তবে পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘ভারত মাতার জয়’। তাই বিজেপির এক নেতার কথায়, খড়গপুর আইআইটির সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই তৃণমূল তো বটেই, বিজেপির একাংশও এই পোস্টার দিতে পারে। বিজেপির এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও পোস্টারিং করতে পারে। হিরণবাবু নিজের জগত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। নিজের বিধানসভার মানুষের জন্য সময় দেন না। তিনি ডুমুরের ফুল। তাই তাঁকে পছন্দ করেন না অনেক বিজেপি নেতাই।

    এদিন বিধায়ক হিরণবাবু তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেননি। বরং তিনি বলেন, যিনি এটা করেছেন, ভালোই করেছেন। এতে আমারই জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আরও বেশি করে পোস্টারিং করা হোক।

     প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকেই রেল শহরজুড়ে বিজেপির উত্থান শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও বাজিমাত করে গেরুয়া শিবির। সাংসদ হন দিলীপবাবু। সেই সময়ে বহু নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে খড়গপুর সদর আসনে বিজেপির প্রার্থী হন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরণ প্রার্থী হয়েই প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। সারা রাজ্যে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও রেল শহরের মানুষ হিরণকেই বিধায়ক হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু তাতে সমস্যাতেই পড়ে মানুষ। কারণ, হিরণকে বিপদে আপদে সেভাবে পাশে পাননি রেল শহরের বাসিন্দারা। খড়গপুর এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, বিধায়ক এই এলাকায় ঘুরতে আসেন বলে শুনেছি। পাঁচ বছরে তাঁকে দেখা যায়নি। বিজেপির মানুষও দেখেননি। কখন আসেন, কখন চলে যান কেউ জানে না। ওঁর নিজের ওয়ার্ডেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।

    মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, বিজেপি মানেই দুর্নীতি। তবে আমাদের কর্মীদের অনেক কাজ আছে। পোস্টারিং করার সময় নেই। অনুমান, হিরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতাদের একাংশই। দলটা আর কিছুদিন পরে থাকবে না। বাজার গরম করার জন্য এই কাজ করা হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)