কাটোয়ায় এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশকর্মী গ্রেফতার
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাটোয়ার এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জ থানার ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবতীকে জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কৃষ্ণনগরে একটি লজে নিয়ে গিয়েছিল ওই পুলিশকর্মী। সেখানে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে সেখানেই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম জাহাঙ্গির শেখ। বাড়ি নদীয়ার তেহট্ট থানার পলাশীপাড়া এলাকায়। শনিবার তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’মাস আগে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা কাটোয়া থানার পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ফেসবুকে ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় ধৃত কনস্টেবল। গত ২৭সেপ্টেম্বর দেখা করতে বলে। সেইমতো ওই যুবতী কাটোয়ার বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে দেখা করতে যান। অভিযোগ, সেখানেই ধৃত পুলিশকর্মী ওই যুবতীকে জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। তারপর তাঁকে কৌশলে কৃষ্ণনগরে নবদ্বীপ রোডের একটি লজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানকার স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে ওই পুলিশকর্মী পালিয়ে যায়। এরপর যুবতীর কাছ থেকে নম্বর পেয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যুবতীর বাড়ির লোকজন তাঁর চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। ২৯সেপ্টেম্বর ধৃত পুলিশকর্মী নামে অভিযোগ জানান।
ঘটনার তদন্তে নেমে কাটোয়া থানার পুলিশ জানতে পেরেভে, জাহাঙ্গির জলপাইগুঁড়ির ডাবগ্রামে র্যাফের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের অধীনে কর্মরত। কিন্তু বর্তমানে সে সামশেরগঞ্জ থানায় ডেপুটেশনে রয়েছে। সেখানেই তাকে পাকড়াও করা হয়।