নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: খেজুরের গুড় বিক্রির মরশুম চলে এসেছে। কিন্তু, জঙ্গলে হাতি থাকায় খেজুরের রস সংগ্রহে যেতে সমস্যায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরের মেদিনীপুর ডিভিশনের একাধিক গ্রামে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে। হাতি ঘুম কেড়েছে স্থানীয় চাষিদেরও। কারণ, জমিতে ধান পাকতে শুরু করেছে। এসময় খাবারের লোভে জঙ্গল থেকে কৃষিজমিতে হাতি ঢুকে পড়ছে।
শুধু মেদিনীপুর ডিভিশনেই ৫৭টির বেশি হাতি রয়েছে। এসমস্ত হাতি ছোট ছোট দলে বিভিন্ন জঙ্গলে ছড়িয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই খাবারের খোঁজে তারা চাষের মাঠ, লোকালয়েও ঢুকে পড়ছে। গ্রামবাসীরা জানান, হাতির ভয়ে পড়ুয়ারা সন্ধ্যায় টিউশনি পড়তে যেতে পারছে না। ফলে তাদের পড়াশোনা লাটে উঠছে। চাঁদড়ার বাসিন্দা পলাশ দাস বলেন, এসময় প্রায় ১০০শতাংশ জমিতে ফসল রয়েছে। জঙ্গলে খাবার কমে আসছে। তাই হাতি চাষের জমিতে চলে আসছে। সামনে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলেও পড়ুয়ারা সন্ধ্যায় টিউশনি যেতে পারছে না।
মেদিনীপুরের ডিএফও দীপক এম বলেন, আমরা সজাগ রয়েছি। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। জেলায় কয়েকলক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এছাড়া, বহু মানুষ জঙ্গল থেকে কাঠ, মধু, বিভিন্ন ধরনের ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। কিন্তু, হাতির কারণে তাঁরা সবাই সমস্যায় পড়ছেন।
মেদিনীপুর ডিভিশনের চাঁদড়া, আরাবাড়ি, পিড়াকাটা সহ নানা এলাকায় দলছুট হাতি রয়েছে। রূপনারায়ণ ডিভিশনে সাতটি হাতি আছে। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বনকর্মীদের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এখন হাতি তাড়াতে গেলে আরও বেশি কৃষিজমির ক্ষতি হতে পারে।