• রানাঘাটে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের দাবি নিয়ে বিএলওদের বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: সময় খুব কম, আর পাহাড় প্রমাণ কাজ। সঙ্গে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর না দিলে সময়ের মধ্যে বুথ থেকে তোলা হাজার হাজার ফর্ম একার পক্ষে ডিজিটাইজ করা সম্ভব নয়। এই দাবিতে রানাঘাট-২ বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিএলওদের একাংশ শনিবার বিক্ষোভ দেখায়। বিশেষ প্রশিক্ষণের দিন এই ঘেরাও-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্লক অফিস চত্বর। যদিও ইচ্ছুক বিএলওদের দাবি, তাঁরা কাজ করতে চাইলেও বিক্ষুব্ধরা বাধা দিচ্ছেন। 

    এদিন পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৮৯ নম্বর রানাঘাট উত্তর-পূর্ব এবং ৯০ নম্বর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথের বিএলও-র প্রশিক্ষণ ছিল। বেশ কয়েকটি জায়গার মধ্যে রানাঘাট-২ ব্লক অফিসেও প্রশিক্ষণ ছিল। কিন্তু, প্রশিক্ষণ শুরু হতেই  সমস্যা দেখা দেয়। প্রশিক্ষণ নিতে অস্বীকার করে বিএলও-দের একাংশ। এর মধ্যে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব এবং রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার বিএলও-রা ছিলেন। তাঁদের দাবি, অল্প সময়ে তাঁদের এই বিপুল কাজ করতে হবে। আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যে হাজার খানেক ফর্ম বিএলও অ্যাপের মাধ্যমে কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন দেড়শো থেকে দু’শো ফর্ম এন্ট্রি করা এক প্রকার অসম্ভব বলে তাঁদের দাবি। তাই ওই কাজে তাঁরা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর দেওয়ার দাবি তোলেন।  

    ২৯০/২২৫ বুথের বিএলও সুদীপ ঘোষ বলেন, আমরা সমস্যার কথা বলতে গেলে কর্ণপাত করা হচ্ছে না। উল্টে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই কাজের জন্য আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। স্কুল থেকেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। কেন আমাদের অন ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না, তার কৈফিয়ত কেউ দিচ্ছে না। ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী ‘ডকুমেন্ট’ ভেরিফাই করা যাবে কীভাবে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। 

    যদিও উল্টো সুরও দেখা গিয়েছে বিএলওদের মধ্যে। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৯০ রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের এক বিএলও বলেন, যতটা কঠিন বলে দাবি করা হচ্ছে, কাজটা তত কঠিন নয়। এক একটি ফর্ম আপলোড করতে সময় লাগছে দু’থেকে তিন মিনিট। আমি কাজ করতে চাইলে উল্টে বিক্ষোভকারীরা চাপ দিচ্ছে, যেন আমি কাজ না করি। যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক তাঁদের জোর করে ধরে দলে টানার কোনও মানে হয় না। 

    এদিন প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভ চলে। পরে প্রশাসনিক কর্তাদের আশ্বাসে ক্ষোভ প্রশমিত হয়। এরপর তাঁরা প্রশিক্ষণও নেন। বিষয়টি নিয়ে ব্লক নির্বাচনী আধিকারিক তথা বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনেই কাজ হচ্ছে। কারও অভিযোগ থাকলে লিখিত জানাতে হবে। সেই অভিযোগ কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ করব।
  • Link to this news (বর্তমান)