• তালিকা থেকে বাদ জীবিত ভোটার, ইনিউমারেশন ফর্ম গেল মৃতার বাড়িতে
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: একই নামের গেরোয় জীবিত ভোটার পেলেন না এসআইআরের ইনিউমারেশন ফর্ম। বিএলও ফর্ম দিলেন মৃতার বাড়িতে।  মেজিয়া ব্লকের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই ব্লকেরই আরও দুই বাসিন্দা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেও ২০২৫ সালের ভোটার লিস্ট থেকে তাঁদের নাম বাদ যাওয়ায় ইনিউমারেশন ফর্ম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা বর্তমানে স্থানীয় বুথ লেভেল অফিসার ও রাজনৈতিক দলের বিএলএ-টু’দের দরজায় দরজায় ঘুরছেন।  

    বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, মেজিয়া ব্লকের অর্ধগ্রাম অঞ্চলের ৪৬ নম্বর ক্ষীরাইতোড় বুথে কল্যাণী মণ্ডল নামে দু’জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু, তাঁর নামে ইনিউমারেশন ফর্ম এসেছে। অথচ জীবিত কল্যাণী মণ্ডলের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে গিয়েছে। ফলে তিনি ইনিউমারেশন ফর্ম পাননি। ওই ব্লকেরই রামচন্দ্রপুর ও ডাং মেজিয়ার বাসিন্দা দু’জন গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। প্রত্যেকেই আমার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে বিএলএ-টু ও দলের নেতাদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। জীবিত কল্যাণীদেবী বলেন, আমার বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। ৬ নম্বর ফর্মে জন্ম শংসাপত্র, বাবার নথি সহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ওইসব কাগজ আমার নেই। সেসব এখন কোথায় জোগাড় করব? কাদের ভুলে আমার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ল, তা প্রশাসন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিক। 

    সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও বলেন, আমরা পোস্ট অফিসের মতো কাজ করছি। যাঁদের ফর্ম এসেছে, তাঁদের বাড়ি গিয়ে বিলি করছি। পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ করে ফের তা প্রশাসনের কাছে জমা দিচ্ছি। এব্যাপারে আমাদের করার কিছু নেই। মেজিয়া ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, তালিকা থেকে কারও নাম বাদ গেলে ফের তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারজন্য নির্দিষ্ট সময়ের পর ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

    উল্লেখ্য, এর আগে বাঁকুড়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার নামও তালিকা থেকে অজানা কারণে বাদ হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে ইনিউমারেশন ফর্ম না পৌঁছনোয় তাঁরা খোঁজখবর করে জানতে পারছেন লিস্ট থেকে নাম বাদ হয়ে গিয়েছে। আপাতত তাঁরা এসআইআর প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। ফলে তাঁরা চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কা করছেন। তবে এসআইআরের সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা ভুক্তভোগীদের আশ্বস্ত করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)