নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দিশারী বহুমুখী মহিলা সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল তৃণমূল। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের পলাশী মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সমবায়ের ১৩টি আসনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী দেয়নি।
ফল ঘোষণার পর কাঁপা চাকলার পঞ্চায়েত প্রধান রবি নিয়োগী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। সমবায় আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর জন্যই বিরোধী দলের কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। মহিলারা আর্থিকভাবে সাহায্য পাচ্ছেন। এই সমবায় সমিতি আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে। মহিলারা উপলব্ধি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহিলাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। দিশা দেখাচ্ছে। তাহলে কেন বিরোধী দলে নাম লেখাবেন তাঁরা? শুধু মহিলারা নন, তাঁদের স্বামীরাও বিভিন্ন কাজের জন্য ঋণ পাচ্ছেন। সেই টাকায় সংসার চলছে। সে কারণেই বিরোধীরা কোনও প্রার্থী পাননি বলে তৃণমূল নেতারা দাবি করেন। সমবায়ের জয়ী মহিলারা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে মহিলাদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে। তাই কোনও মহিলাই বিরোধী দলের প্রার্থী হতে রাজি হননি। অবশ্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভয়ে কেউ প্রার্থী হননি।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রবিবাবু বলেন, মহিলাদের সামগ্রিক উন্নতি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের আনন্দধারা প্রকল্পের জন্য। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সাহায্য করছে না। সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে কাঁপা চাকলাতেই শান্তিনিকেতন সমবায় সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেখানে দলনেত্রী হয়েছেন কৃষ্ণা দত্ত। আর পলাশী মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিশারী বহুমুখী সমবায় সমিতির দলনেত্রী হচ্ছেন রিমা সরকার।