সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ-খুন, ব্যবহৃত সেই গাড়ি উদ্ধার
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বিধাননগরে সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের মামলায় অবশেষে উদ্ধার হল সেই গাড়ি। শুক্রবার রাতে কলকাতার একটি এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখা। সোনা ব্যবসায়ীর দেহ লোপাটের সময় ওই গাড়িটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে। ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সজল সরকারকে জেরা করেই পুলিশ ওই গাড়ির খোঁজ পায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে। সেটি তৃণমূল নেতার? নাকি অন্য কারও, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন উত্তরবঙ্গের নয়। তাই গাড়ির নম্বর প্লেট খতিয়ে দেখেই পুলিশ গাড়ি মালিকের খোঁজ করছে।
গত ২৮ অক্টোবর সল্টলেকের দত্তাবাদ থেকে গাড়িতে করে অপহরণ করা হয় সোনা ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে। তারপর তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ফ্ল্যাটে। সেখানেই স্বপনাবাবুকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর দেহ লোপাট করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় স্বপনবাবুর মৃতদেহ। ৩১ অক্টোবর স্বপনবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। পরে ওই মামলাটি হস্তান্তর করা হয় কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার হাতে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় একটি গাড়িকে বার বার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে। সেই গাড়িটিকে আগেই চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। কিন্তু, গাড়িটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিডিও’র গাড়ি চালক রাজু ঢালি ও ঠিকাদার বন্ধু তুফান থাপাকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ জানতে পারে, এই কাণ্ডে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা সজল সরকারও যুক্ত। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে গোয়েন্দারা ওই গাড়িটির খোঁজ পায়। তারপরই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।