• স্বাস্থ্যসাথীর পরিধি নিয়ে আরও ভাবনার আর্জি কর্কট রোগ সম্মেলনে
    আনন্দবাজার | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • দ্রুত রোগ নির্ণয় হওয়ায় সহজেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে স্তনের কর্কট রোগ। এবং প্রতি বছরই ওই রোগের মোকাবিলায় নতুন অত্যাধুনিক চিকিৎসা-পদ্ধতিও সামনে আসছে। চিকিৎসকদের সেই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পারস্পরিক আদানপ্রদানের লক্ষ্যে দু’দিনের সম্মেলনের আয়োজন করল ‘সোসাইটি অব মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট অব ইন্ডিয়া’। শনি ও রবিবার রাজারহাটে আয়োজিত ‘বেঙ্গল ব্রেস্ট ক্যানসার কনফারেন্স’ শীর্ষক ওই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৯২ জন চিকিৎসক যোগ দিলেন।

    উপস্থিত চিকিৎসক সৈকত গুপ্ত জানান, গত ১২-১৩ বছরে সরকারি ক্ষেত্রেও কর্কট রোগের সুসংগঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। একই ভাবে বেসরকারি ক্ষেত্রেও উন্নত পরিষেবা মিলছে। তাঁর কথায়, ‘‘কিন্তু কিছু খামতি রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এখন অনেক মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পেলেও অস্ত্রোপচারের আগে যে পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, সেগুলি ওই প্রকল্পের আওতায় আসে না। এগুলির বিষয়ে সরকারকে চিন্তাভাবনা করার অনুরোধ করব।’’

    শহুরে এলাকা ছাড়িয়ে গ্রামেও এখন স্তনের কর্কট রোগের রোগী মিলছে। কিন্তু রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ওই রোগে আক্রান্তদের পরিসংখ্যান ঠিক ভাবে রাখা হচ্ছে না বলেও মত অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান তথা কর্কট রোগের চিকিৎসক পি এন মহাপাত্রের। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত কর্কট রোগের মধ্যে এখন সর্বাগ্রে রয়েছে স্তনের কর্কট রোগ। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে, চিকিৎসায় রোগী সুস্থ জীবন পেতে পারেন। তার জন্য দেশের সব কর্কট রোগের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতাকে এক ছাতার তলায় আনার লক্ষ্যেই এই সম্মেলন।’’

    স্তনের কর্কট রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে পারলে আগামী দিনে ওই রোগের মোকাবিলা সহজ হবে বলেও জানান কর্কট রোগের শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায়। শনিবার দু’দিনের সম্মেলনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের থেকে যে পরামর্শগুলি উঠে আসছে, সেগুলি অবশ্যই সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)