• থিমের জোয়ার বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোয়
    আনন্দবাজার | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • বিকেল গড়ালেই বাতাসে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। এই আবহে কার্তিক পুজোর রোশনাইতে মাততে প্রস্তুতি নিচ্ছে শহর বাঁশবেড়িয়া। এই জনপদে ধুমধাম করে কার্তিক পুজো হয়। কাল, সোমবার থেকে পুজো শুরু হচ্ছে। তাকে কেন্দ্র করে আলোর বাহারে সেজে উঠছে রাজপথ থেকে অলিগলি।

    নামে কার্তিক পুজো হলেও বহু দেবদেবীর পুজো হয়। ফলে, দর্শনার্থীরা শুধু দেব-সেনাপতিকে নন, নারায়ণ, সন্তোষী, গণেশ-সহ বিভিন্ন দেবদেবী দর্শন করতে পারেন। কার্তিকও আবার নানা রূপে বিরাজমান মণ্ডপে মণ্ডপে। কোথাও কার্তিক জামাইবেশী। কোথাও নটরাজের কায়দায়। কোথাও আবার যুদ্ধের ভঙ্গিমায় (জ্যাংড়া)। পুজো চলবে চার দিন ধরে।

    হুগলির নানা প্রান্ত তো বটেই, অন্য জেলা থেকেও বহু মানুষ বাঁশবেড়িয়ায় আসেন এখানে ঠাকুর দেখতে। এ বারেও বিভিন্ন মণ্ডপে থিমের জোয়ার। সেই আয়োজনে সমাজ সচেতনতার বার্তাও থাকবে বলে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে।

    অনির্বাণ কার্তিক পুজো কমিটি থিমের নাম দিয়েছে ‘বিবর্তনের থেকে উত্তরণ’। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা সুমন্ত সরকার জানান, টানা রিকশা থেকে গণ-পরিবহণের নানা মাধ্যম হয়ে বুলেট ট্রেনের আগমন দেখানো হবে। মণ্ডপের সামনে থেকে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হবে গাড়িতে। সেই গাড়ির আদল হবে বুলেট ট্রেনের মতো। এখানে পুজো করা হয় জামাই কার্তিক। বলাকা সঙ্ঘের মণ্ডপে গাছ-গাছালির সমাহার। শাল, সেগুন, মেহগনির পাশাপাশি ঘরে রাখার বিভিন্ন গাছ শোভা পাবে মণ্ডপ জুড়ে। এখানে নারায়ণ পুজো হয়। আগন্তুক, অভিযান, নটরাজ, নবভারতী কুণ্ডুগলির পুজোতেও থাকছে থিম। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে।

    বাঁশবেড়িয়ার পুরসদস্য অমিত ঘোষ জানান, পুজো উপলক্ষে এ বারেও শহরের নানা জায়গায় মেলা বসবে। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করবে পুরসভা। উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় জানান, সাহাগঞ্জ-বাঁশবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কার্তিক পুজো কমিটির আওতায় ৮৫টি পুজো হচ্ছে। বিশেষত মহিলা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কয়েকটি জৈব শৌচাগার বসানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে জলের ভ্রাম্যমাণ ট্যাঙ্কও থাকবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)