অন্যদের সাহায্য করতে অনেক ভোটার এসআইআরের (ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন) গণনাপত্র পূরণ করে, তার ছবি সমাজমাধ্যমে দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে সে ছবিতে মোবাইল এবং আধার কার্ডের নম্বরও দেখা যাচ্ছে। সে সুযোগে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার ছক কষেছে প্রতারকেরা, উঠেছে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, কোচবিহারের মতো নানা জেলার বেশ কিছু বাসিন্দা সাইবার প্রতারণার কেন্দ্রীয় সহায়তা নম্বরে (১৯৩০) ফোন করে এমন অভিযোগ করেছেন।
সমাজমাধ্যমে দেওয়া ছবির সূত্রে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়েছে, ‘বিএলও বলছি’। ফর্ম যথাযথ পূরণ হয়েছে কি না, তা বুঝতে ফোনে যাওয়া ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) জানাতে বলা হয়েছে। তা জানাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও দুষ্কৃতীরা ফোনে বলেছে, ‘ফর্মে ভুল রয়েছে। ঠিক করতে ‘ওটিপি’ জানাতে হবে’। আবার, ফোন করে, ‘আমি বিএলও, আপনাকে ফর্ম দিয়ে এসেছি। ফর্মটা ঠিক আছে কি না, অনলাইনে দেখতে হবে’—এমন দাবি করে ‘ওটিপি’ চাওয়া হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, জামালপুরের একাধিক জন এমন প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। এক জনের কথায়, ‘‘বিএলও ভেবে ওটিপি জানাতেই, অ্যাকাউন্ট থেকে দশ হাজার টাকা গায়েব।’’ আর এক জনের দাবি, ‘‘এসআইআর নিয়ে মনে দোলাচল থাকায়, ফোন পেয়ে অন্য সম্ভাবনা মাথায় আসেনি।’’
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর থেকেও পুলিশকে এমন প্রতারণার কথা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, “বিহারে এসআইআরের সময়েও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়েছে।” তাঁর সংযোজন: ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে ভোটারের ফোনে ওটিপি যাওয়ার প্রশ্ন নেই। ফোনে কোনও তথ্য দেবেন না।’’ রাজ্য পুলিশের তরফে জেলায়-জেলায় সর্তকবার্তা পাঠানো হয়েছে। সমাজমাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে জেলা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের তরফে।