সব হারিয়ে শেষ বয়সে ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। নথিপত্র প্রায় কিছুই সঙ্গে নেই। এই পরিস্থিতিতে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে উদ্বিগ্ন বসিরহাটের এক বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকেরা। কী ভাবে নথি জোগাড় হবে, ফর্মই বা পূরণ করবেন কী ভাবে, সেই সব নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের তরফে অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বসিরহাটের ওই বৃদ্ধাশ্রমে জনা দশেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন। বেশিরভাগই সত্তরোর্ধ্ব। অনেকে জানালেন, আপনজনেরা আর খোঁজ-খবর নেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুই সঙ্গে নেই। তার উপরে, চলাচলের শক্তিও হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর ফর্ম পূরণ নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না তাঁদের।
এক বৃদ্ধার কথায়, “আমরা এখানে প্রায় সকলেই অসুস্থ। ঠিক মতো নড়তে চড়তে পারি না। এই অবস্থায় কী করে ফর্ম ভর্তি করব, জানি না।’’ আরও এক বৃদ্ধার কথায়, “সেই কবে বাড়ি থেকে এসেছি! নথিপত্র কিছুই সঙ্গে নেই।” এক বৃদ্ধের কথায়, “ছেলেমেয়ে এখানে রেখে গিয়েছে। নাতি-নাতনিদের দেখার ইচ্ছা হয়, কিন্তু কেউ নিয়ে যায় না। এই বয়সে না দেশ ছাড়া হতে হয়!”
এ দিকে, এসআইআর আবহে দীর্ঘদিন পরে বাড়ির লোকজন খোঁজ নিচ্ছে বলেও জানালেন কেউ কেউ। এক বৃদ্ধা বলেন, “অনেক দিন পরিবারের কাউকে দেখিনি। এসআইআর চালুর পরে সন্তানেরা হঠাৎ খোঁজ-খবর করছে দেখছি!”
তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর সুরজিৎ মিত্র বাদল সম্প্রতি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি বলেন, “আবাসিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা জেনেছি। মহকুমাশাসকের দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত ওঁদের সমস্যার সমাধান করা হবে।” মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবাসিকদের ফর্ম পূরণ নিয়ে অযথা চিন্তা করার দরকার নেই।