• দেড় দশকের অপেক্ষার অবসান! কৃষ্ণনগর-আমঘাটা পথে শুরু ব্রডগেজ ট্রেনের যাত্রা, শীঘ্রই জুড়বে নবদ্বীপও
    আনন্দবাজার | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ন্যারোগেজ বন্ধ হওয়ার পরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক বার। আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়েছিল লাইন। তবুও শুরু হয়নি যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা। ন্যারোগেজ বন্ধ হওয়ার ১৫ বছর পরে শনিবার কৃষ্ণনগর-আমঘাটা পথে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল ব্রডওয়ে রেল পরিষেবা। ২০১০ সালে শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত চলাচলকারী ন্যারোগেজ বন্ধ হওয়ার পর তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পথে ব্রডগেজ রেলপথ চালুর ঘোষণা করেছিলেন। দ্রুত এই লাইনটি নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    বহু বাধা-বিপত্তি এবং জমি-জটের কারণে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার পথের কাজ থমকে ছিল। প্রথম পর্যায়ে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ায় শনিবার থেকে এই অংশে যাত্রিবাহী ইএমইউ ট্রেন চলাচল শুরু হল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট তিন জোড়া ট্রেন এই পথে চলবে।

    যদিও নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণের কাজ এখনও অনিশ্চয়তার মুখে। ফকিরতলার কাছে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ১৩ বছর কাজ বন্ধ ছিল।

    এই লাইনে পরিষেবা চালুর কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপানউতর। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, তৃণমূল জমি অধিগ্রহণে বাধা দিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল এই প্রকল্পের কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে দাবি করেছে। সিপিএমও ন্যারোগেজ তুলে দেওয়ার পর থেকে ব্রডগেজ চালুর দাবিতে আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেছে।

    রাজনৈতিক টানাপড়েন সত্ত্বেও, প্রায় ১০৬ কোটি টাকা খরচ করে ভাগীরথীর উপর রেলসেতু তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এখন নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে। আপাতত কৃষ্ণনগর-আমঘাটা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

    এই রুটে তিনটি নতুন ইএমইউ ট্রেন চালু হওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে। এই ট্রেনগুলির সময়সূচি হল: কৃষ্ণনগর থেকে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট, দুপুর দেড়টা, রাত ৯টা ১৫ মিনিট এবং আমঘাটা থেকে সকাল ৭টা০৮ মিনিট, দুপুর ১টা ৫৩মিনিট, রাত ৯টা ৩৮মিনিট।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)