নির্বাচনে টিকিট দেয়নি বিজেপি, অভিমানে আত্মঘাতী আরএসএস কর্মী!
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা ছিল বিজেপি টিকিট দেবে। মেলেনি। এরপরই মিলল আরএসএস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা আনন্দ কে থাম্পির। বন্ধুদের দাবি, আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপে সেকথা নিজেই নাকি জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। যদিও গেরুয়া শিবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানাচ্ছে, আনন্দ তাদের কাছে কোনও টিকিট চানইনি।
পুলিশ সূত্রের দাবি, আনন্দের আশা ছিল তিরুঅনন্তপুরম পুরসভা নির্বাচনে ত্রিক্কান্নাপুরম কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপির টিকিট পাবেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই তিনি বুঝতে পারেন তাঁর আশা পূরণ হয়নি। এরপরই বন্ধুদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে আনন্দ ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে। এবং ঘোষণা করেন এই জীবন তিনি আর রাখতে চান না। মেসেজ দেখেই দ্রুত বন্ধুরা আনন্দের বাড়ির দিকে ছুটে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁরা এসে দেখতে পান, বাড়ির সামনে একটি স্থান থেকে ঝুলছে আনন্দর দেহ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই আরএসএস কর্মী।
আনন্দর মেসেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের দাবি, দলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু এরপর বন্ধুরা তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দেখেই সম্ভবত শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথে হাঁটেন আনন্দ।
এদিকে আনন্দর মেসেজ থেকে আরও একটি দিক উঠে এসেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে টিকিট না দেওয়ার পিছনে রয়েছেন কয়েকজন স্থানীয় নেতা। তাঁরা বালি মাফিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেন। আর সেই কারণেই ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থে তাঁকে ভোটে না লড়তে দেওয়ার ‘চক্রান্ত’ করেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর জানাচ্ছেন, তিনি এই ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”আমি জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত প্রার্থীতালিকাযতেই ওঁর নাম ছিল না। তবে আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখব।”
এদিকে শিবসেনা নেতারা জানিয়েছেন বিজেপি আনন্দকে টিকিট না দেওয়ার পর তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। শুক্রবার এক হোটেলে একটি বৈঠকও করেন তাঁরা। সভার পর, আনন্দ শিবসেনার সদস্যপদ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার সকালে সেই নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এরপর অভিমানে আত্মঘাতীই হন আরএসএস কর্মী। পুলিশ পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে।