সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল ‘শয়তানের মা’! ফরেনসিক তদন্ত থেকে এমনই দিক উঠে আসছে। মনে করা হচ্ছে সম্ভবত, ওই বিস্ফোরকই ব্যবহৃত হয়েছিল হামলায়। যার পোশাকি নাম ট্রায়াকিটোন ট্রাইপারক্সাইড। এতদিন মনে করা হচ্ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটই ব্যবহার করা হয়েছিল সেদিন। কিন্তু এবার সেই ধারণাকে ‘ভুল’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কী এই ট্রায়াকিটোন ট্রাইপারক্সাইড? সংক্ষেপে TATP নামে পরিচিত এই বিস্ফোরকের জন্য ‘ডিটোনেটর’ লাগে না। কেবল অতিরিক্ত তাপমাত্রা পেলেই সেটি বিস্ফোরিত হয়। পাশাপাশি জোরে চাপ পড়ে গেলে, ঘষা লাগলেও একই পরিণতি হতে পারে। সুতরাং আপাত ভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট যেখানে রাসায়ণিক কিংবা তাপমাত্রা- দুই দিক থেকেই স্থিতিশীল। সেখানে ট্রায়াকিটোন ট্রাইপারক্সাইড অত্যন্ত বিপজ্জনক। তদন্তকারীরা এও মনে করছেন, উমর জনাকীর্ণ এলাকায় প্রবেশের আগে TATP-এর প্রকৃতি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত ছিল। বিস্ফোরণের স্থানটি ছিল চাঁদনি চকের পাশে, যা পুরনো দিল্লির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে একটি।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি হামলা হিসেবে ঘোষণা না করা হলেও তদন্তের গতিপথ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল গাড়িটি। ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। চলছে তদন্ত। আর তার মধ্যেই এবার বিস্ফোরকের চরিত্র নিয়েই সন্দেহ তদন্তকারীদের। আপাতত নজর ‘শয়তানের মা’-র দিকেই।