বিশ্বব্যাঙ্কের ১৪ হাজার কোটির ঋণও বিহারের ভোটের কাজে! বিস্ফোরক পিকের দল
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু রাজকোষের অর্থ নয়, বিহারের ভোটে জিততে বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া ১৪ হাজার কোটি টাকাও উড়িয়ে দিয়েছে এনডিএ। ফলপ্রকাশের পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে বিহারে ৪০ হাজার কোটি টাকার খয়রাতি করেছে বিজেপি।
২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিপুল জয় পেয়েছে এনডিএ শিবির। ২০২ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে মোদি-নীতীশ জুটি। একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তাদের ঝুলিতে ৮৯টি আসন। আর জেডিইউ পেয়েছে ৮৪টি। বিরোধী মহাগঠবন্ধনের আসন সংখ্যা তলানিতে। এতটাই কম যে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পেলেও বিরোধীরা রাজ্যসভায় সদস্য পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজের ভরাডুবি হয়েছে। কোনও আসন জেতেনি জন সুরাজ। ভোটের হারও আশাপ্রদ নয়। সেই ভরাডুবির পরই পিকের দল বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে।
দলের সভাপতি উদয় সিং শনিবার অভিযোগ করেছেন, “ভোটে জিততে শেষবেলায় বিহারে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিলিয়েছে সরকার। যা অভাবনীয়। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে ১৪ হাজার কোটি টাকা বিহারের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দিয়েছিল, সেটাও খয়রাতিতে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে ভোট কেনার চেষ্টা হয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, বিহারের এক কোটির বেশি মহিলাকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাষবাস করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সফলভাবে কোনও মহিলা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারলে এই প্রকল্পে তাঁকে পরবর্তীকালে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার অনুদান দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
জন সুরাজের বক্তব্য, ভোট কেনার জন্য বিহারবাসীকে ঘুষ দিয়েছে বিজেপি। আর নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শক হিসাবে থেকে গিয়েছে। উদয় সিংয়ের বক্তব্য, “এই হয়তো প্রথমবার নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ভোটের আগের দিন পর্যন্ত মানুষ টাকা পেয়েছে।” সব মিলিয়ে ভোটে ভরাডুবির দায় নির্বাচন কমিশনের উপরই চাপিয়েছেন জন সুরাজ সভাপতি।