নদীর পাড়ে স্ত্রীর গলাকাটা দেহ, গাছে ঝুলছে স্বামী! হাড়হিম ঘটনা শিলিগুড়িতে
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: নদীর পাড়ে পড়ে রয়েছে মহিলার গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ। অদূরে গাছ থেকে ঝুলছে স্বামীর গলায় ফাঁস লাগানোর মৃতদেহ। রবিবার সাতসকালে এই হাড়হিম করা ঘটনা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দম্পতির জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। জোড়া খুন নাকি অন্য কিছু? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
মৃত ওই দম্পতির নাম তপন মণ্ডল ও অনিমা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির ভোলাপাড়া এলাকায় বাড়ি ওই দম্পতির। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় তাঁদের দাম্পত্য জীবন। তাঁদের দুই ছেলে। স্বামী-স্ত্রী ও দুই ছেলে প্রত্যেকেই কর্মরত। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। দম্পতির মধ্যেও ঝগড়া-অশান্তি হত না বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। তপন মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। স্ত্রী অনিমা একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজ শেষের পর নির্দিষ্ট সময়ে স্বামী-স্ত্রী নিত্যদিন বাড়ি ফিরে আসতেন বলে খবর।
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই দম্পতির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবরও চলে। থানায় বিষয়টি জানানো হয়। আজ, রবিবার সকালে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শিলিগুড়ির নরেশ মোড় এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে সাহু নদী। সেই নদীর পাড়েই অনিতার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি গাছে স্বামী তপনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। সাতসকালে এই দুই মৃতদেহ দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় আশিঘর থানায়।
দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ দুই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের সদস্যদেরও এই দুঃসংবাদ দেওয়া হয়। কী কারণে এই ঘটনা? স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী? নাকি স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই খুন করা হয়েছে? স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি কোনও অশান্তি চলছিল? দাম্পত্যের মধ্যে কি কোনও তৃতীয়পক্ষ এসেছে? একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।