কেন পরিবার ও রাজনীতি ত্যাগ করলেন রোহিণী? সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন লালুকন্যা
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
পাটনা, ১৬ নভেম্বর: এনডিএ-র দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে মহাগঠবন্ধন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। শোচনীয় ফল হয়েছে তেজস্বীদের। তারপরেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। গতকাল, শনিবার লালুকন্যা রোহিণী আচার্য জানান পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন তিনি। এমনকী রাজনীতিতেও আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন রোহিণী। গতকাল, শনিবার রাতেই পাটনায় লালুর ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী এমন ঘটল যার ফলে এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিণী? সেটাই আজ, রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে জানিয়েছেন।লালুকন্যা লিখেছেন, ‘গতকাল একজন কন্যা, বোন, একজন বিবাহিত মহিলা এবং একজন মাকে অপমান করা হয়েছে। নোংরা গালিগালাজ করা হয়েছে। মারার জন্য জুতো তোলা হয়েছে। আমি আমার আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করিনি। সত্যকে ত্যাগ করিনি। শুধুমাত্র সেই কারণেই আমাকে এই অপমান সহ্য করতে হয়েছে। গতকাল একজন অসহায় কন্যা তাঁর কাঁদতে থাকা বাবা-মাকে এবং বোনেদের ছেড়ে এসেছে। আমাকে আমার বাবার বাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাকে অনাথ করে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কাউকে যেন আমার এই পথ অনুসরণ করতে না-হয়। যেন কোনও বাড়ি কোনও দিন রোহিণীর মতো মেয়ে বা বোন না-পায়।’ রোহিণী এও জানিয়েছেন, তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছেন তেজস্বী ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়। সঙ্গে রামীজ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন রোহিণী। সঞ্জয় ও রামীজ দু’জনেই তেজস্বী ঘনিষ্ঠ। রোহিণী বাবা লালুকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করেছিলেন। সেই নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।লালুকন্যা জানিয়েছেন, ‘গতকাল, আমাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে আমি নোংরা। বাবাকে আমার নোংরা কিডনি দান করেছি। যার বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা ও লোকসভার টিকিট নিয়েছি।’ পাটনা ছেড়ে গতকালই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রোহিণী। সূত্রের খবর, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে হারের জন্য নিজের রোহিণীকেই দায়ী করেন। এমনকি তাঁর দিকে জুতোও ছোড়া হয়। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে লালুপ্রসাদ ও তেজস্বীর তরফে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। নির্বাচনের আগে লালু পুত্র তেজপ্রতাপকে পরিবার ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার ভোটের পর লালুকন্যা রোহিণীর গৃহ ও রাজনীতি ত্যাগ বিপাকে ফেলেছে আরজেডি প্রধানকে।