আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে জেলে বসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। বিচারভবন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এই অনুমতি দিয়েছে। আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ অন্যান্য অভিযুক্তের বয়ান রেকর্ড করার জন্য গত ১৩ নভেম্বর আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ইডি।
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেই বিচারপ্রক্রিয়ার মাঝেই ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরার বয়ান নেওয়া হবে। তিনজনই একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আদালত জানিয়েছে, মামলার স্বার্থেই ইডির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কুমারী পূর্ণিমা ও তদন্তকারী আধিকারিক বিকাশ যাদব প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তিন জনের বক্তব্য রেকর্ড করতে পারবেন। জেরা চলাকালীন জেলের সুপার উপস্থিত থাকবেন। তবে বিচারপ্রক্রিয়ার সময়সূচিতে কোনও ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। আগামী ৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে ইডিকে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জেল কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত চলাকালীনই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। দুটি মামলাতেই সিবিআই তদন্ত করেছে এবং সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে ধর্ষণ-খুন মামলায় তিনি আগেই জামিন পেয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তিনি এখনও জেলে।
অভিযোগ, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম চলছিল। চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডার দুর্নীতি, ঘনিষ্ঠদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর সিবিআই এই মামলায় দুর্নীতিদমন আইনে চার্জশিট জমা দেয় আলিপুর আদালতে। ইডির জিজ্ঞাসাবাদে এবার নতুন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।