বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘তালিবান শাসন’! দিল্লি বিস্ফোরণের খলনায়ক উমর সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিবান মডেল তৈরির চেষ্টা করেছিল আত্মঘাতী জঙ্গি চিকিৎসক উমর মহম্মদ। বইয়ের পোকা, কাশ্মীরের পুলওয়ামার ওই চিকিৎসকের সম্পর্কে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়ার বক্তব্য সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলে।
শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করা উমর ক্লাসে ছেলে ও মেয়েদের একসঙ্গে বসতে দিত না। সম্প্রতি ডাক্তারি ছাত্ররা এই অভিযোগ সামনে এনেছেন। তাঁদের অভিযোগ, “ক্লাস এবং অন্যান্য জায়গায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় ‘তালিবান মডেলে’র প্রশংসা করত ওই চিকিৎসক। কলেজেও সেই একই মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা করত সে। তাই যখন ক্লাসে আসত, তখনই সে আমাদের আলাদাভাবে বসাত। ছেলে এবং মেয়েদের ক্লাসে একসঙ্গে বসতে দিত না।”
সংবাদ সংস্থার খবর, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া, কলেজের অন্যান্য শিক্ষাকর্মী এবং কর্মীরা এই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কেউ কেউ উমরের এই ‘তালিবান মডেল’ সমর্থন করত বলেও অভিযোগ। এক পড়ুয়ার কথায়, “উমর কলেজ হস্টেলে থাকত। বেশিরভাগ সময়ই নিজের মতোই থাকত। আশা নিয়ে আমরা এখানে পড়তে এসেছিলাম। কিন্তু লক্ষ করতাম ক্লাসও ঠিক মতো হত না। এমনকী, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও সঠিক সময়ে হত না।” কর্মীরা জানিয়েছেন, রাজধানীতে বিস্ফোরণের পর আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন পড়ুয়ারা। একটা ভয় আর সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মেডিক্যালের ছাত্ররা বলেছেন, ধৃত চিকিৎসক শাহিন অধ্যাপক হিসাবে দুর্দান্ত ছিলেন। তবে উমরকে তাঁরা সেই সার্টিফিকেট দিতে নারাজ। উমরের পরিচয় কী তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসছে।