• রাজভবন থেকে সরবরাহ বন্দুক, বোমা! কল্যাণের মন্তব্যে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালের
    প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সুদীপ রায়চৌধুরী: রাজভবন থেকে বন্দুক, বোমা সরবরাহ করা হচ্ছে! শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের এবার পালটা পদক্ষেপ রাজভবনের। আজ, রবিবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হল রাজভবনের সিংহ দুয়ার। সাংসদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক মিলিয়ে ১০০ জনের জন্য রাজভবন খুলে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, সাংসদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজভবন থেকে কড়া বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।

    বিহার নির্বাচনের ফলাফলের প্রকাশের পর এসআইআর-এর গুরুত্বের কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর মতে, এসআইআর নতুন পদ্ধতি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তা প্রয়োজন ছিল। বিহারের মতো বাংলাতেও জনতা এই পদ্ধতি ভালোভাবে গ্রহণ করবেন। তাতে নির্বাচনও ভালোভাবে হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর অবশ্য পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কড়া মন্তব্য, “রাজ্যপালকে আগে বলুন তাঁর রাজভবনে বিজেপির অপরাধীদের যাতে না রাখে। রাজভবনে অপরাধী রাখছেন আর তাদের একটা করে বন্দুক দিচ্ছেন, বোমা দিচ্ছেন। বলছেন, মেরে এসো তৃণমূলের লোকেদের। আগে এসব বন্ধ করুন। তিনি অপদার্থ রাজ্যপাল! বিজেপির চাকরবাকর রাজ্যপাল যতদিন থাকবে, ততদিন ভালো জিনিস পশ্চিমবাংলায় হবে না।”

    সেই মন্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসে রাজভবন। রাজভবনের তরফে রাতেই বিবৃতি জারি করা হয়। জানানো হয়, সাংসদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক মিলিয়ে ১০০ জনের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়া হবে। রাজভবনে আদৌ কোনও অস্ত্র, গোলাবারুদ মজুত আছে কিনা তাঁরা এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারেন। সাংসদের দাবি ভুয়ো প্রমাণিত হলে তাঁকে মানুষের কাছে ‘ক্ষমা’ চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ইঙ্গিতও মিলেছে। লোকসভার স্পিকারের কাছেও এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের অনুরোধ জানানো হবে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

    এই আবহে আজ, রবিবার ভোর পাঁচটা থেকেই রাজভবনের দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজভবন ও রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে কলকাতা পুলিশ। রাজভবনে যদি গোলা-বারুদ মজুত থাকে, তাহলে পুলিশ কী করছে? রাজভবনে অস্ত্র, গোলাবারুদ আনার অনুমতি কি দেওয়া হয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনেই থাকছেন। এই বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজভবনের তরফে তাঁকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে রাজ্যপাল রাজভবনেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)