RG Kar আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বয়ান রেকর্ডের ভাবনা, আরও বিপাকে সন্দীপ
প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৫
অর্ণব আইচ: আর জি কর দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে উদ্যোগী ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সন্দীপ। সেখানে গিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ডের তৎপরতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালতে সন্দীপের বয়ান রেকর্ডের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারীরা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে, ২০০২-এর ৫০ নম্বর ধারায় সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ডের আবেদনে অনুমতি দেয় আদালত। আগামী ১৪ ডিসেম্বর সন্দীপের বয়ান রেকর্ড সম্পর্কিত তথ্য আদালতে পেশ করবে ইডি।
গত বছরের ৯ আগস্ট, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর স্ক্যানারে আসে আর্থিক দুর্নীতি। সন্দীপ ঘোষের আমলে আর জি কর হাসপাতালে নানা দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে এতদিন সেসব চাপা পড়ে ছিল। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর তা ফের উসকে ওঠে। মামলা দায়ের করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশিও চালান তদন্তকারীরা। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।
তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আমলে হাসপাতালের অন্যান্য আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে আসে। সেই দুর্নীতির তদন্তে প্রথমে সিট গড়েছিল রাজ্য। তদন্তও শুরু হয়। তার মাঝেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী আখতার আলি। তিনি ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। সন্দীপের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন তিনি। তবে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রথম মামলাটি করে সিবিআই। ইডিও সেই এফআইআরের ভিত্তিতে ECIR করে। বলে রাখা ভালো, শুধু সন্দীপ ঘোষই নয়, ইডির স্ক্যানারে আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।