• ‘কাশ্মীরে পোঁতা সন্ত্রাসের বীজ গোটা দেশে ছড়িয়েছে’, ফারুখকে একহাত নিয়ে তোপ শশীর
    প্রতিদিন | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার মন্তব্যের পালটা এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। রবিবার তিনি জানালেন, দেশের সন্ত্রাসের বীজ পোঁতা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। আজ সেটাই গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শশীর এই মন্তব্য সামনে আসার পর শোরগোল শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

    শশীর এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে শনিবার শ্রীনগরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার এক বয়ান। দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীরের যোগ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সন্ত্রাসবাদে কাশ্মীরিদের দিকে আঙুল তোলার এই ‘প্রবণতা’র নিন্দা করে ফারুখ বলেন, “সমস্ত কাশ্মীরিদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। সেই দিন কবে আসবে যখন এরা বিশ্বাস করবে আমরাও ভারতীয়। এই হিংসার দায় আমাদের নয়। যে এই ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের প্রশ্ন করুন কেন একজন চিকিৎসক এই পথ বেছে নিচ্ছেন? গভীরভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ।” ফারুখ আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর করে বাস্তবে কোনও লাভ হয়নি। বরং আমাদের ১৮ জনের প্রাণ গিয়েছে।” পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।

    ফারুখের সেই মন্তব্যের পালটা রবিবার এক বিবৃতিতে শশী থারুর বলেন, “দেশে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল ১৯৮৯-৯০ সালে কাশ্মীরে। ধীরে ধীরে তা মুম্বাই, পুণে হয়ে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। গত ৩০ বছর ধরে সন্ত্রাসের মার সহ্য করছে ভারত। সময় এসেছে এই নারকীয়তার বিরুদ্ধে কঠোর এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপের।” শুধু তাই নয় থারুর আরও বলেন, “যে কোনও সন্ত্রাসী হামলায় দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। তা হল, কে, কেন এই হামলা চালিয়েছে এবং এই ধরনের হামলা যাতে দ্বিতীয়বার না ঘটে তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ। সমস্ত ঘটনাকে যুদ্ধ ও শান্তির চশমা পরে দেখা উচিৎ নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে নেওয়া উচিৎ, একইসঙ্গে দেশে উন্নয়নের বিরাট লক্ষ্যমাত্রাকে উপেক্ষা করাও উচিৎ নয়।”

    উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে মেট্রোর সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। তদন্তে জানা গিয়েছে, উমর নামে এক চিকিৎসক বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই উমর কাশ্মীরের বাসিন্দা। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য।
  • Link to this news (প্রতিদিন)