অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহের বন্দিপুরের যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা। রহড়া থানার পুলিশের একাংশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “আমি জানি না, পুলিশ কার দালালি করছে? সমাজবিরোধীদের? তা না হলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়বে কেন? এতদিন তো সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল।”
বৃহস্পতিবার রাতে রহড়া থানার অন্তর্গত খড়দহের বন্দিপুরের ডাঙাদিঘলা এলাকার বাসিন্দা সুরজ খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বর্তমানে সে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তখনই আক্রান্তের মা মন্ত্রীর কাছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই পুলিশকে নিশানা করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে। আক্রান্ত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। হাসপাতালে গিয়ে সবকিছু দেখবে। এটাই তো হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, কিছুই করল না। উল্টে, পুলিশ বলছে মিটমাট করে নিতে! পুলিশ কার দালালি করছে? সমাজবিরোধীদের হয়ে দালালি করবে? পুলিশের তো আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আমি জানি না, এখানে পুলিশের কে এসে একথা বলেছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করে এসেছি খড়দহ বিধানসভা এলাকায় সমাজবিরোধী মুক্ত করতে। কিন্তু, দু-চারজন সমাজবিরোধীর জন্য গোটা এলাকা বদনাম হবে তা মেনে নেওয়া যায় না।”
একইসঙ্গে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “পুলিশ সঠিকভাবে চললে কোনও গন্ডগোল হতে পারে না। টুকটাক ঝামেলা হতেই পারে। তার মানে এই নয় যে কাউকে প্রাণে মারার চেষ্টা হবে। তাই, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা তো অবশ্যই রয়েছে। তা না হলে হঠাৎ কেন এই এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়বে! এতদিন তো দেখা যায়নি। এর জন্য যতদূর যাওয়ার ততদূর যাব।” যদিও এনিয়ে পুলিশের বক্তব্য, হামলার ঘটনায় একজনকেই অভিযুক্ত পাওয়া গিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।