• জোট বেঁধে একদা ভোটে লড়াই, সেই বার্লার বাড়ি এড়িয়ে ত্রাণ বিলি গুরুংয়ের!
    প্রতিদিন | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • অরূপ বসাক, মালবাজার: একসময় দারুণ সম্পর্ক ছিল জন বার্লা ও বিমল গুরুংয়ের। জোট বেঁধে ভোটেও লড়েছিলেন। তবে বর্তমানে সম্পর্কের অবনতি। সৌজন্য বিনিময় হলেও, বাড়িতে না ঢুকেই ফিরলেন বিমল গুরুং। জন বার্লার সঙ্গে তাঁর এই দূরত্ব নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে জোর চর্চা।

    পুজোর ঠিক পরপরই হড়পা বানে ভেসে যায় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তলায় চলে যায় ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান। ক্ষতিগ্রস্ত হন চা শ্রমিকরা। রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ত্রাণ বিতরণ করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। ত্রাণ বিতরণ শেষে ফেরার পথে জন বার্লার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যায় তাঁর গাড়ি। সে খবর তৃণমূলে যোগ দেওয়া জন বার্লার কানে যায়। বিমল গুরুংকে অর্ভ্যথনা জানাতে বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন সস্ত্রীক জন বার্লা। তবে গাড়ি থেকে নামলেন না গুরুং। বার্লার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। সস্ত্রীক বার্লা দীর্ঘক্ষণ গুরুংয়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলেও, তিনি বাড়িতে ঢোকেননি।

    একসময় জন বার্লা ও বিমল গুরুং জোট বেঁধে ডুয়ার্সে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছিলেন। ২০২৩ সালের মার্চে বার্লার বাড়িতে সময় কাটানো ও খাবারদাবারের স্মৃতিও তাজা। তাই এদিনের বিপরীত দৃশ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এদিন গুরুং জানান, রাজনীতিতে তিনি সক্রিয়ই। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও অংশ নেবেন। তবে নিজে প্রার্থী হবেন নাকি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবেন, তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই দাবি গুরুংয়ের। আপাতত তিনি ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত বলেই দাবি। অন্যদিকে, জন বার্লার দাবি, “উনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে এসেছিলেন। ব্যস্ততার কারণেই আমার বাড়িতে ঢুকতে পারেননি।” তবে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে জন বার্লার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। লক্ষ্মীপাড়ার দুই নেতার দূরত্ব দীর্ঘমেয়াদে কী রাজনৈতিক বার্তা দেয়, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)