• জলসীমা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! গ্রেপ্তার ২৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
    প্রতিদিন | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গভীর সমুদ্রে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশ। সেই অভিযোগে ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। রবিবার ভোরে ওই মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়। এদিন দুপুরে আটক বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের উপকূলরক্ষী বাহিনী ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    রবিবার ভোরে বঙ্গোপসাগরে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। টহলরত অবস্থায় বাহিনীর জওয়ানদের নজরে আসে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশি একটি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। তৎক্ষণাৎ উপকূলরক্ষী বাহিনী ‘এফবি আমিনা গণি’ নামের ওই বাংলাদেশি ট্রলারটিকে আটক করে। ট্রলারে ছিলেন ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। তাঁদের আটক করা হয়।

    দুপুরে আটক করা বাংলাদেশি ওই মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলে। এরপর আটক মৎস্যজীবীদের তুলে দেওয়া হয় ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃত মৎস্যজীবীদের সোমবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।

    উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ জুলাই ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরার অভিযোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে আটক হয় ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’ ও ‘এফবি ঝড়’ নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের দু’টি ট্রলার ও ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। ট্রলার দু’টি কাকদ্বীপ থেকেই গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিল। আটক হওয়া মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশ নৌবাহিনী মংলা পোর্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গত ১৫ জুলাই ধৃত মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের ওই থানায় মামলা রুজু হয় এবং বাগেরহাট আদালত ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই বাংলাদেশের জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবেই রয়েছেন তাঁরা। শনিবার ওই বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে আটক হওয়া ট্রলার ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’র মৎস্যজীবী বাবুল দাস ওরফে বোবার মৃত্যুর খবর আসে কাকদ্বীপে তাঁর পরিবারের কাছে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই মৎস্যজীবীর, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)