রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: জেলে বসেই নাশকতার ছক! দিল্লি বিস্ফোরণে এবার নাম জড়াল নদিয়ার পলাশিপাড়ার বাসিন্দার সাবির আহমেদের। বর্তমানে সে মাদকদ্রব্য পাচারের অভিযোগে জেলে রয়েছে। বন্দি অবস্থায় কীভাবে দেশবিরোধী কাজকর্ম চালাত তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে গোয়েন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে। সম্প্রতি দিল্লিতে লালকেল্লার রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিযোগ রয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত শাহিনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, বিভিন্ন সোশাল গ্রুপের মাধ্যমে তারা এই কাজকর্ম চালাত। আর প্রতিটি গ্রুপের মেন্টর হিসেবে কাজ করতো শাহিন সাহিদ। সেই গ্রুপের সক্রিয় ছিল নদিয়ার জেলবন্দি সাবির আহমেদ। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে এই সাবির আহমেদ বিভিন্ন সময় ভারতবিরোধী প্রচার এবং দেশবিরোধী কাজে উৎসাহ প্রদানে সাহায্য করত।
গত ১২ নভেম্বর, বুধবার রাতে এস টি এফ, পলাশিপাড়া থানার সহযোগিতায় বড় নলদহ থেকে সাবিরের ভাই ফাইজাল আহমেদ আটক করে নিয়ে যায়। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা বলতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার পর একটি সূত্র দাবি করে, সাবির জেলবন্দি অবস্থায় দেশ বিরোধী কার্যকলাপ চালাতো। এবং দিল্লি বিস্ফোরণে যোগ রয়েছে তার। এই খবর ছড়ায় এলাকাতেও। যদিও এই দাবি মানতে চায়নি সাবিরের পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দার মিঠুন শেখ বলেন, “আমরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছি না ও জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত।” কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, “কিছুদিন আগে এসটিএফ সাবিরের ভাইকে নিয়ে যায়। তবে বিস্ফোরণের বিষয়ে সাবিরের যোগ থাকার বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই।”