• পুবালি হাওয়ায় শীত সাময়িক ‘রেস্ট’–এ, বাড়ছে তাপমাত্রা
    এই সময় | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: বুধবার ও বৃহস্পতিবার, পর পর দু’দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে আটকে থাকার পরে সেটা চড়তে শুরু করেছে শুক্রবার রাতে। মহানগরে শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সেটা অল্প বেড়ে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু কিছু জায়গায় রাতের তাপমাত্রা এ ভাবেই বেড়েছে।

    রবিবার আবহবিদরা জানিয়েছেন, আজ, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে আসা ঠান্ডা ও শুকনো বাতাসের প্রবাহ কিছুটা দুর্ব‍ল হয়ে পড়ার জন্য এবং একই সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার প্রবাহের অভিমুখ কিছুটা পাল্টে যাওয়ার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে পুবালি হাওয়ার স্রোত ঢুকতে শুরু করেছে দেশের মূল ভূখণ্ডে। তার জেরেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ প্রান্ত এবং পড়শি রাজ্য ওডিশায় তাপমাত্রা বাড়ার এমন ঘটনা।

    তবে তা বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে, শীত ঠিকঠাক পড়তে শুরু করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিদায় নিতে শুরু করেছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, মাত্র দিন কয়েকের জন্য শীত একটু ‘রেস্ট’ নিচ্ছে। যার নেপথ্যে রয়েছে উত্তর–পশ্চিমের ঠান্ডা ও শুকনো হাওয়ার স্রোতের কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়া। যার ফলে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় রাতের তাপমাত্রা আর নতুন করে কমছে না, বরং কিছুটা হলেও বাড়ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মহানগরের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, দুটোই স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে রয়েছে। তবে এই সপ্তাহে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন— দুটো তাপমাত্রাই বাড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলোয় শীতের কামড় অবশ্য ভালোই অনুভূত হচ্ছে। শনিবার গভীর রাতে পুরুলিয়া (১২), শ্রীনিকেতন (১৩) ও বাঁকুড়া (১৩.৫) ছিল রাজ্যের সমতলের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঠান্ডা। গোটা রাজ্যে শনিবার গভীর রাতে শীতলতম ছিল দার্জিলিং (৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।

    আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য, পুবালি হাওয়ার প্রভাবে সমুদ্রের দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস দক্ষিণবঙ্গের মাটিতে ঢুকতে শুরু করার পরেই বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। বাতাসের জলীয় বাষ্প শীতল ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে এসে ঘন হয়ে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণায় ভর করে কুয়াশা তৈরি করছে।

    তবে বাংলার দক্ষিণ প্রান্তের পরিস্থিতি এ রকম হলেও মধ্য ও উত্তর ভারতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার দেশের সমতলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে এই তাপমাত্রা রেকর্ডেড হয়েছে। বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ, লোহারদাগা ও লাতেহার অঞ্চলে শনিবার রাতে পারদ নেমেছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

  • Link to this news (এই সময়)