• হরিদেবপুরে ৪৫ কাঠা জমির বার্ষিক সম্পত্তি কর ১০৪ টাকা! তদন্তের নির্দেশ মেয়রের
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হরিদেবপুরের মতো জায়গায় প্রায় ৪৫ কাঠা জমি। যার বার্ষিক সম্পত্তি কর মাত্র ১০৪ টাকা! বিশাল সম্পত্তির করের এই পরিমাণ শুনে ওয়াকিবহাল যে কেউ অবাক হবেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ক্ষেত্রেও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। ঘটনা যে রীতিমতো অস্বাভাবিক, তা বুঝতে পেরেই পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। আধিকারিকরা মনে করছেন, সম্ভবত বহু বছর ওই সম্পত্তির কর পুনর্মূল্যায়ন করানো হয়নি। তাই পুরোনো হারেই ট্যাক্স রয়ে গিয়েছে। 

    সম্প্রতি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বেহালা পূর্ব বিধানসভা এলাকা থেকে এই অভিযোগ আসে। হরিদেবপুর থানা এলাকার পশ্চিম পুটিয়ারির ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ফোন করে বলেন, ‘সোদপুর ব্রিক ফিল্ড রোডে ৪৫ কাঠা জমির বার্ষিক সম্পত্তি কর মাত্র ১০৪ টাকা হতে পারে কীভাবে?’ অভিযোগ শুনে আকাশ থেকে পড়েন মেয়র! আধিকারিকদের ওই ঠিকানা নোট করার নির্দেশ দেন। কীভাবে এত বড় সম্পত্তির কর এত কম থাকল, তদন্ত করে দেখতে বলেন। যেখানে পুরসভা সম্পত্তি কর থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেখানে বছরের পর বছর কোনও জমি বা সম্পত্তির সঠিক কর মূল্যায়নই হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন পুরকর্তারা। যদিও এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেহালা শাখার এক কর্তা বলেন, ‘একটা বিষয় হতে পারে, ওই জমি বা সম্পত্তির কর মূল্যায়ন আপডেট করা হয়নি। যে কোনও কারণেই হোক না কেন, পুরোনো হারেই করের রশিদ বার হচ্ছে। এমনটাও হতে পারে, বর্তমানে ওই জমি বা সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সম্পত্তির পুরোনো তথ্য অ্যাসেসমেন্ট তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়নি। অর্থাৎ ওই জমি বা সম্পত্তি ভাগ করে নতুন অ্যাসেসি তৈরি হলেও মাদার অ্যাসেসি নম্বরটি রয়ে গিয়েছে এখনও। তাই করও রয়ে গিয়েছে ১০৪ টাকা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও গলদ থাকলে অবশ্যই শুধরে নেওয়া হবে।’

    উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বিভিন্ন বৈঠকে মেয়র বারবার বলেছেন, ‘শহরের সংযুক্ত এলাকা, বিশেষ করে বেহালা, কসবা, গরফা, জোকা, হরিদেবপুরের মতো অঞ্চলে এখনও নতুন নতুন বাড়ি, আবাসন তৈরি হচ্ছে। এসব এলাকায় নিয়মিত সমস্ত সম্পত্তিকে পুর-করের আওতাভুক্ত করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। একটিও সম্পত্তি যেন করের আওতার বাইরে না থাকে। সেই মতো মিউটেশনেও জোর দিচ্ছে পুরসভা।’ তা সত্ত্বেও এমন একটি অভিযোগ আসায় নড়েচড়ে বসেছে পুরসভার কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগ।
  • Link to this news (বর্তমান)