• গঙ্গাসাগর মেলা: বিভিন্ন আশ্রম, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক জীবাণুমুক্ত করার পরিকল্পনা
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জল বিশুদ্ধকরণের উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। মেলায় বহু আশ্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে খাবার, জল ইত্যাদি দেওয়া হয় তীর্থযাত্রীদের। যে জল তারা ব্যবহার করবে, সেটা যাতে জীবাণুমুক্ত থাকে, তার জন্য আগাম পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলা। সেজন্য আশ্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বাড়ির জলের ট্যাঙ্কগুলি মেলা শুরুর আগে জীবাণুমুক্ত করা হবে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় কি না, জানা নেই। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ট্যাঙ্ক ক্লোরিনেট করা হবে।

    এছাড়াও খাবার পরীক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ গাড়িও থাকছে। দোকান, স্টল এবং বিভিন্ন লঙ্গরখানা থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে অন স্পট পরীক্ষা করবেন ফুড সেফটি অফিসাররা। মান খারাপ বেরোলেই বাজেয়াপ্ত করা হবে সেই সব খাবার। স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার মেলার জন্য ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৭৫০র বেশি লোক নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে শুধু ডাক্তারই ১০০ জন। পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হবে। তার মধ্যে তিনটি সাগরে এবং একটি করে লট এইট ও নামখানায় তৈরি হবে। মোট বেডের সংখ্যা ১০৫। এছাড়াও বাড়তি আরও দুটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া থাকবে। সেগুলি মেলা গ্রাউন্ডের কাছে এবং কচুবেড়িয়াতে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, রোগীর চাপ বাড়লে তখন সেটা করা হবে। এর বাইরে কলকাতা থেকে সাগর পর্যন্ত একাধিক হাসপাতালেও গঙ্গাসাগরে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩০০-৩৫০টি বেড। গতবারের মত এবারও টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা থাকবে। রাখা হবে ১০০টি অ্যাম্বুলেন্সও।
  • Link to this news (বর্তমান)