• মতুয়াদের অনশন তুলতে আর্জি অভিষেকেরও
    আনন্দবাজার | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • দিন তিনেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে এসআইআর-উদ্বেগে চলা মতুয়াদের একাংশের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একই সঙ্গে আন্দোলনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই বিষয়ে চিঠিও লেখেন। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই বার্তা নিয়ে অনশন-মঞ্চে এলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তবে, রাত পর্যন্ত অনশন প্রত্যাহার নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি এই কর্মসূচির আয়োজক, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ।

    মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘আমরা মহাসঙ্ঘে আলোচনা করে অনশন তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব।’’ তবে একটি সূত্রের দাবি, মমতা ঠাকুর জানিয়েছেন, সোমবার অনশন তুলে নেওয়া হবে। মতুয়াদের একাংশের এই অনশন রবিবার দ্বাদশ দিনে পড়ে। এর আগে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব অনশন-মঞ্চে ঘুরে গেলেও তৃণমূল নেতৃত্ব না আসায় জল্পনা বাড়ছিল। মমতা ঠাকুর শনিবার জানান, তাঁর সঙ্গে অভিষেকের কথা হয়েছে। রবিবার অভিষেকের বার্তা নিয়ে অনশন-মঞ্চে আসেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কাগজে লেখা ওই বার্তা তাঁরা মমতা ঠাকুরের হাতে তুলে দেন। কর্মসূচিকে সমর্থন এবং অনশনকারীদের সুস্থতা কামনা করে বার্তায় অভিষেক জানিয়েছেন, কোনও প্রকৃত ভোটারকে যাতে বাদ দেওয়া না হয়, সে জন্য তৃণমূল কাজ করছে। ন্যায় সংহত আন্দোলন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে হয় না। সে জন্য অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান তিনি। দিল্লিতে আন্দোলন সংগঠিত করারও আশ্বাস দিয়েছেন।

    স্নেহাশিস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আছেন, তখন এক জনকেও রাষ্ট্রহীন করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। সে জন্য যত দূর যেতে হয়, মমতা আন্দোলনকে তত দূর নিয়ে যাবেন। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন।’’ শশী বলেন, ‘‘আপনারা কোনও কাগজ দেখাবেন না। অনুরোধ, অনশন প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করুন।’’

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন আর একটি অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে এ দিন ঠাকুরবাড়িতে পাল্টা সভা হয়। ওই মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইনের দাবি, ‘‘মতুয়া ভক্তদের এসআইআর এবং সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছি, যাতে সিএএ-তে আবেদন করার নথি এসআইআরে গ্রাহ্য করা হয়।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)