• বাজেয়াপ্ত বাজি জমে থানায়, চিন্তায় পুলিশ
    আনন্দবাজার | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • শ্রীনগরের নওগ্রাম থানায় মজুত বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত হয়েছেন অনেকে। সেই ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানাতেও। পুজোর সময়ে উদ্ধার করা কয়েকশো কিলোগ্রাম করে নিষিদ্ধ বাজি প্রায় প্রতিটি থানায় মজুত রয়েছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় না করতে পারায় কখন বিপর্যয় ঘটে, তা নিয়ে চিন্তায় কার্যত ঘুম ওড়ার অবস্থা উর্দিধারীদের।

    যদিও বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, “আমাদের জেলায় কোনও থানায় বিপুল পরিমাণে বাজেয়াপ্ত করা বাজি রাখা নেই। বাজেয়াপ্ত বাজি উদ্ধার করে রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। থানার মালখানা বা থানায় যেখানে লোকজনের ভিড় থাকে, এমন জায়গায় তা রাখা যায় না। প্রতিটি থানাই সেই নিয়ম মেনে নিরাপদ জায়গায় বাজিগুলি রেখেছে।”

    তবে পুলিশ কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, নওগাম থানায় জঙ্গিদের বিস্ফোরকের সঙ্গে পুজোর সময়ে তাঁদের বাজেয়াপ্ত করার বাজির তুলনা চলে না ঠিকই। তবে বিপুল পরিমাণ বাজির এক সঙ্গে বিস্ফোরণ যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তার সাক্ষী রয়েছে বিভিন্ন জেলার বাজি কারখানাগুলো। তাই সাবধানের মার নেই। মজুত বাজি নিষ্ক্রিয় করতে না পারা পর্যন্ত তাঁদের স্বস্তি নেই।

    জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরই পুজো মরসুমে জেলা জুড়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৪ কুইন্টাল নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া সেই বাজিগুলি এখনও নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।ওই বাজিগুলির মধ্যে যেমন রোশনাই, তারাবাতির মতো আতশবাজি রয়েছে, তেমনই প্রচুর পরিমাণে চকলেট বোমা, গাছবোমাও আছে। কেবল বাঁকুড়া সদর থানাতেই কম-বেশি এক কুইন্টাল বাজি মজুত রয়েছে। এছাড়া মেজিয়া, ওন্দা, শালতোড়া, পাত্রসায়র, ইন্দাস, কোতুলপুরের মতো থানাগুলিতেও কম-বেশি পরিমাণে বাজেয়াপ্ত বাজি রাখা হয়েছে। বাঁকুড়া সদর থানা সূত্রে দাবি, বাজেয়াপ্ত শব্দবাজিগুলি থানা থেকে পৃথক একটি ফাঁকা জায়গায় আচ্ছাদনে রাখা আছে। তবে বাজেয়াপ্ত শব্দবাজি নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ এখনও আদালতের তরফে দেওয়া হয়নি। দ্রুত সেই নির্দেশ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য পুলিশ সচেষ্ট হচ্ছে।

    জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “কোন থানায় কত পরিমাণে বাজেয়াপ্ত শব্দবাজি রয়েছে, সেই খবর নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই যাতে সেগুলি আইন মোতাবেক নিষ্ক্রিয় করা হয়, সেই নির্দেশ দিচ্ছি।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)