• মন্দির, মঠ, আশ্রমকে নিয়ে কমিটি বিজেপির, প্রশ্ন অন্দরে
    আনন্দবাজার | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ‘মন্দির-মঠ-আশ্রম’ নামে একটি কমিটি গড়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল বিজেপি। এমন কমিটি বিজেপিতে বিরল বলেই দলের একাংশের দাবি। হঠাৎ এমন কমিটির উদ্দেশ্যই বা কী, তা নিয়ে ধন্ধেই রয়েছেন বিজেপি নেতাদের অনেকেই। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলাতে একাধিক কমিটির সঙ্গে ‘মন্দির-মঠ-আশ্রম’ নামে কমিটি গড়া হয়েছে।

    দলীয় সূত্রের খবর, এই কমিটি বিধানসভাভিত্তিক কাজ করবে। এলাকায় যত মন্দির, মঠ এবং আশ্রম রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে দলের কয়েকজন নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, সমন্বয় করবেন। সে কারণেই কমিটি গঠন হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি আর গেরুয়া লাইন নিতে চলছে বলেই অনুমান নেতৃত্বের। বিরোধীদের দাবি, ভোটে জিততে বিজেপি মরিয়া হয়ে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে।

    গেরুয়া শিবিরের অলিখিত প্রথা অনুযায়ী, সাধারণত মন্দির-মঠ-আশ্রমের সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যোগাযোগ রাখে। কোনও-কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সরাসরি যোগাযোগ রাখে। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-ই মূলত মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রাখে। এবার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি দল হিসেবে নিজেরাই সরাসরি মন্দির-মঠ এবং আশ্রমগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তবে কয়েকটি বিশেষ আশ্রমের ক্ষেত্রে জেলাস্তরে যোগাযোগ রাখতে বারণ করা হয়েছে। সেই আশ্রমগুলির সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি সম্পর্ক রক্ষা করবে। বিজেপির এক জেলার কথায়, “স্থানীয় মন্দির বা মঠে বিপুল ভক্ত সমাগম হয়। সাধারণত এলাকার সব মন্দির এবং মঠ মিলিয়ে দেখলে রাজনীতি বিশ্বাস নির্বিশেষে ভক্তেরা যাতায়াত করেন। ভোটের আগে দলের কথা সেই ভক্তদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টাই করা হবে।’’ জেলার ওই নেতার দাবি, ‘‘এতে অন্যায় কী? তৃণমূলই তো বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করে।”

    বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী মাসেই এই কমিটির প্রথম বৈঠক হবে। কারা কোথায় কী ভাবে দায়িত্বে থাকবেন, সেই বৈঠকে জানানো হবে। বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, মন্দির বা মঠগুলিকে কি রাজনীতিতে যুক্ত করার চেষ্টা হবে! সেক্ষেত্রে উল্টো প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক খগেশ্বর রায় স্পষ্ট অভিযোগ করে বললেন, “বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়। ধর্মক্ষেত্রকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)