• দিল্লি বিস্ফোরণে মধ্যপ্রদেশ যোগ? গ্রেপ্তার আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির কর্ণধারের ভাই
    এই সময় | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় এ বার গ্রেপ্তার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির কর্ণধারের ভাই। ধৃতের নাম হামুদ সিদ্দিকি। তিনি মধ্যপ্রদেশের মোহ শহরের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। দিল্লির ঘটনার তদন্তে এ বার জুড়ে গেল মধ্যপ্রদেশের মোহ শহরের নামও।

    সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হামুদ গত ২৫ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দিল্লির বিস্ফোরণের তদন্তে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির (Al-Falah University) সঙ্গে যুক্ত একাধিক ডাক্তারদের নাম আগেই উঠে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও তদন্ত করে পুলিশ। এর পরেই খোঁজ মেলে আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির কর্ণধার জাভেদ সিদ্দিকির ভাই হামুদ সিদ্দিকির।

    অভিযোগ, হামুদ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা চালাতেন মোহ শহরে। সেখানকার একাধিক পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হামুদ মূলত টার্গেট করতেন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের পরিবারের লোকজনকে। এর পরে বিনিয়োগকারীরা যখন টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে চাপ দিতে শুরু করতেন, তখন হামুদ কিছু টাকা ফেরত দিয়ে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করতেন। পরে সপরিবারে মোহ শহর ছেড়ে চলে যান হামুদ।

    পুলিশের অনুমান, জাভেদ তাঁর ভাই হামুদের নামে 'আল-ফালাহ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি' তৈরি করেছিলেন। সম্ভবত, সেই সংস্থার মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হামুদ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, জেরায় হামুদ যদি তাঁর দাদার নাম প্রকাশ করে, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    হামুদ হায়দরাবাদে নিজেকে একজন শেয়ার ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়ে বসবাস করতেন। বর্তমানে তাঁকে মোহ শহরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার জেলে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাকে জেরা করা হচ্ছে। আজ, সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। এ ছাড়াও, খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোহ ছেড়ে যাওয়ার পরে তিনি কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং কোন সূত্র থেকে তাঁর কাছে টাকা আসত।

  • Link to this news (এই সময়)