সৌমেন ভট্টাচার্য: এসআইআর আতঙ্কে ফের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল। গাছ থেকে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। দমদমের ১৩২ নম্বর আর এন গুহ রোডের একটি গাছ থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভি্যোগ, এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন ওই তরুণ। এই ঘটনায় বাংলা এসআইআর আবহে মৃত্যুতে আরও একজনের নাম যোগ হল।
আত্মঘাতী ওই যুবকের নাম বৈদ্যনাথ হাজরা(৪৬)। পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। পরিবারের দাবি, এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন বৈদ্যনাথ। এর মধ্যেই শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বৈদ্যনাথ। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেন নি। তারপরই নাগেরবাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন পরিবারের লোকজন।
বৈদ্যনাথ বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় ছিল পরিবারের লোকজন। তার মধ্যেই সোমবার ভোরে আর এন গুহ রোডের একটি গাছ থেকে বৈদ্যনাথের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস ওই দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। পরিবারের দাবি, বৈদ্যনাথের কাছে ভোটার কার্ড ও আধার ছিল কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে বাবা-মার নাম ছিল না। এনিয়ে প্রবল চিন্তায় ছিলেন বৈদ্যনাথ।
মৃতের স্ত্রী জয়ন্তী হাজরার অভিযোগ, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক এতটাই বেড়েছিল বৈদ্যনাথ এরকম পদক্ষপ করতে বাধ্য হলেন। উল্লেখ্য, দম্পতির ২ সন্তান। বড় ছেলে কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন। মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। পরিবারের বাকিরা সান্তনা দিলেও তিনি নিশ্চিন্ত হতে পারেননি।