বিক্রম রায়, কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কলকাতা হয়ে দিঘা পর্যন্ত ভলভো বাসের সূচনা করেছিল এনবিএসটিসি। তবে কয়েকমাস চলতে না চলতেই আর দেখা মিলছে না যাত্রীর। যাত্রীর অভাবে বাতিল পর্যন্ত করতে হচ্ছে বাস। এমনকী রায়গঞ্জ এবং মালদহ থেকে যে ভলভো বাস চলাচল করছিল, ইতিমধ্যে সেটা বন্ধ করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা-আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মতো রুটে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে যে বাসগুলি চলাচল করছে সেখানেও যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শীতের মরশুমে যাতে নিগমকে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা শুরু করেছে নিগম কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “শুরুর দিকে যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই দেখা যাচ্ছিল। তবে এখন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে চারটি বাস কলকাতা হয়ে দিঘা পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। কলকাতা পর্যন্ত যাত্রী পাওয়া গেলেও দিঘা পর্যন্ত যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে রায়গঞ্জ এবং মালদহের বাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই বাসগুলি উত্তরবঙ্গের জেলার মধ্যে চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাছাড়া শীতের মরশুমে যাতে নিগমের ঘাটতি না হয়, তারজন্য বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ছ’টি বাস নিগম কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলেন। শুরু থেকে বাসগুলির চাহিদা ভালো ছিল। তবে দিন যতটাই এগিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এমনকি ভাড়ায় কিছুটা ছাড় দিয়েও মিলছে না যাত্রী। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতাগামী বাসের বেশ কয়েকটি ট্রিপ যাত্রীর অভাবে বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রীর বুকিং থাকায় তাদেরকে বিকল্প বাসে যাত্রার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে পুনরায় যাত্রী চাহিদা বাড়ানো যায়, তার জন্য পরিকল্পনা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।