পাহাড়ের মতো আন্দোলন নয়, দাবিপূরণে সরকারি স্তরে আলোচনা চান ডুয়ার্সের গোর্খা সম্প্রদায়
প্রতিদিন | ১৭ নভেম্বর ২০২৫
অরূপ বসাক, মালবাজার: পাহাড়ে মতো আন্দোলন করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলা নয়, নিজেদের দাবিদাওয়া পূরণে সরাসরি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চাইছে তরাই-ডুয়ার্স এলাকার গোর্খা সম্প্রদায়। আর সেই লক্ষ্যে সোমবার নাগরাকাটার এক বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত সভায় ‘ডুয়ার্স তরাই গোর্খা সম্মেলন’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করল। জানানো হয়েছে, মোট ১৫ দফা দাবি আদায়ে সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহী। আগামী মাসে স্থায়ী কমিটি গঠনের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
‘ডুয়ার্স তরাই গোর্খা সম্মেলন’ নামে নতুন সংগঠনের অস্থায়ী কমিটির সভাপতি রাজেশ ছেত্রী বলেন, “এখানকার গোর্খা সমাজের মনের কথা এতদিন কেউ সঠিকভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি। আমরা সেই কাজটিই করতে চাই। কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মের যোগ থাকবে না।” নতুন সংগঠনের মূল দাবিগুলি নেপালি ভাষার উপর জোর দেওয়া। মূল পাঁচ দাবি হল ? পাহাড়ের মতো ডুয়ার্স–তরাই অঞ্চলেও নেপালি ভাষার দ্বিতীয় রাজ্যভাষা স্বীকৃতির সুফল পৌঁছে দেওয়া, নেপালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ, নেপালি ভাষার জন্য স্বতন্ত্র ভাষাগত সংখ্যালঘু বোর্ড গঠন, গোর্খা সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সংরক্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, গ্রামীণ এলাকায় নেপালি ভাষার গ্রন্থাগার তৈরি এবং গোর্খা সাহিত্যিক, শিল্পী ও খেলোয়াড়দের সরকারি স্তরে উৎসাহ ও স্বীকৃতি প্রদান।
এদিন গঠিত হয়েছে ২৫ সদস্যের অস্থায়ী কমিটি। সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাহিত্যিক অজয় খাড়কা। কো-অর্ডিনেটর পদে মনোনীত হন পূর্ব ডুয়ার্সের লালসিং ভুজেল, মধ্য ডুয়ার্সের নারায়ণ ছেত্রী ও কুমার ছেত্রী এবং পশ্চিম ডুয়ার্সের প্রমেশ ছেত্রী ও খগেন্দ্র শর্মা। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন বিকাশ বিশ্বকর্মা ও সরোজ সুব্বা। আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর নাগরাকাটা বা বানারহাটে আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ সভায় সংগঠনের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে। সভায় তরাইয়ের নকশালবাড়ি থেকে ডুয়ার্সের শেষ সীমানা সংকোশ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার গোর্খা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।