• ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকায় দমদমে আত্মহত্যার অভিযোগ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। সোমবার ফের এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা! মৃতের নাম বৈদ্যনাথ হাজরা। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।

    ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বৈদ্যনাথ হাজরার নাম ছিল না। তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সেই চিন্তায় ইন্ধন জুগিয়েছিল ২০০২-এর তালিকায় মা-বাবার নাম না থাকায়। বৈদ্যনাথ হাজরার স্ত্রী জানিয়েছেন, এসআইআর নিয়ে চিন্তা করে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৈদ্যনাথ।

    রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত ২টোর একটু পরেই ঘর থেকে বেরিয়ে যান বৈদ্যনাথ। মোবাইল ফোনও সঙ্গে নেননি তিনি। ঘর থেকে বেরনোর সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মোবাইল ফোন সঙ্গে না থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পুলিশের কাছে যান বৈদ্যনাথের স্ত্রী।

    সোমবার ভোরে দমদমের আরএন গুহ রোডের কাছেই একটি গাছ থেকে বৈদ্যনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাগেরবাজার থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে এসআইআর আতঙ্ককেই দায়ী করছেন বৈদ্যনাথের স্ত্রী জয়ন্তী হাজরা।

    দম্পতির দুই সন্তান। বড় ছেলে কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।  মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। বৈদ্যনাথ হাজরার ছোটবেলার বন্ধু রাজু সাহার অভিযোগ ‘এসআইআর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল। আমি বলেছিলাম তোর কিছু হবে না। আমার ছোটবেলার বন্ধু। এখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছি আমরা। ওঁর স্ত্রী বলতো খুব চিন্তায় রয়েছে, খায় না, ঘুমোয় না।’

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)