এসএসসিতে শূন্যপদ বাড়ার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে শূন্যপদ এমনটাই খবর। সোমবার বিকাশ ভবনে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হোক। আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শূন্যপদ তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতক্ষণ না পুরো প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, এ নিয়ে আইনিভাবে কোনও কথা বলতে পারব না। মূলত যোগ্যদের জন্যই কথা হচ্ছে। মন্ত্রীসভায় নিশ্চয়ই বিবেচনা করে দেখা হবে।‘
এসএলএসটির শূন্যপদ আরও বাড়তে পারে বলে খবর। একাদশ-দ্বাদশের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ইন্টারভিউয়ের প্যানেল নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে জট। যাঁরা প্রথমবার এসএসসি দিলেন, তাঁদের দাবি শূন্যপদ বাড়ানো হোক।
২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা এ বার পরীক্ষায় ১০ নম্বর চাকরির অভিজ্ঞতার জন্য পেয়েছেন। নতুন চাকরীপ্রার্থীরা সেই ১০ নম্বর থেকে বঞ্চিত হওয়ায় চাকরির দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। লিখিত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠিতে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েও অনেকে ডাক পাননি বলে অভিযোগ।
সোমবার বিকাশ ভবন অভিযানেরও ডাক দেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর কেন, প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। অতিরিক্ত নম্বরের জন্য তাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়েছে।
শূন্যপদ যদি বাড়েও, তাতে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কতটা উপকৃত হবেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যোগ্যদের কথা মাথায় রেখেই শূন্যপদ বৃদ্ধি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের এসএসসির একজন যোগ্যও যেন বাদ না যান, তা নজরে রাখছে রাজ্য।
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘নতুনদের বিষয়ে এসএসসি-র কাছ থেকে আমার কাছে এই মুহূর্তে কোনও কিছু আসেনি। তাঁরা কোনও ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই। যতক্ষণ না এ নিয়ে এসএসসি-এর সঙ্গে কথা বলছি, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’